যশোরে বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত

জাতীয়

স্বীকৃতি বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টারঃ

নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীর সাথে যেমন জড়িয়ে রয়েছে জীবন ও জীবিকার সম্পর্ক তেমনি জড়িয়ে রয়েছে চিত্র বিনোদনের অনুষঙ্গ নৌকা বাইচ।যা আবহমান কাল থেকে বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ হিসাবে জড়িয়ে আছে।
আর তাই বাংলার এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখার মানসে আজ শুক্রবার ( ১১ নভেম্বর) যশোর জেলার ঐতিহ্যবাহী শিল্প শহর ও বন্দর নগরী নওয়াপাড়ার বুকে প্রবাহিত ভৈরব নদে অনুষ্ঠিত হয়েছে নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা।
নওয়াপাড়া পৌরসভার আয়োজনে ও আফিল গ্রুপের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় এবছর অনুষ্ঠিত হলো ১১তম নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা।

নৌকাবাইচ প্রতিযোগীতা কমিটির সাধারন সম্পাদক মঈনুর জহুর মুকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিশেষ আলোচনা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র ও নৌকাবাইচ প্রতিযোগীতা কমিটির সভাপতি সুশান্ত কুমার দাস শান্ত। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ তমিজুল ইসলাম খান।বিশেষ অতিথির হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নৌকাবাইচ প্রতিযোগীতার পৃষ্ঠপোষক আফিল গ্রুপের চেয়ারম্যান যশোর-১ আসনের সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন। ইসলামী ব্যাংকের এম ডি মোহাম্মদ মনিরুল মওলা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেসবাহ উদ্দিন, অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক বাবুল, সাধারণ সম্পাদক সরদার অলিয়ার রহমান, অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) এ কে এম শামিম হাসান, সহকারী কমিশনার (ভুমি) থান্দার কামরুজ্জামান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি শাহ্ আব্দুল মুকিত জ্বিলানী ভাইস – চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান তারু সহ প্রমুখ।

নৌকাবাইচ প্রতিযোগীতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ৭টি নৌকা অংশ গ্রহন করে।আর এ প্রতিযোগীতা দেখার জন্য নওয়াপাড়াসহ আশেপাশের কয়েকটি উপজেলার লক্ষাধিক লোক ভৈরব নদের উভয় পাড়ে সমবেত হয় এবং আনন্দ উপভোগ করে।

তিনটি রাউন্ডের মধ্যে প্রথম রাউন্ডে ২টি নৌকা বাদ দিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় রাউন্ডে পাঁচটি নৌকা বাইচে অংশ গ্রহন করে প্রতিযোগীতায় প্রথম হয় খুলনা জেলার দীঘলিয়া উপজেলার সোনার বাংলা নৌকা,দ্বিতীয় হয় খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার কোলা বাজারের ভাই ভাই জলপরী নৌকা ও তৃতীয় হয় গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার জয় মা দূর্গা নৌকা।
প্রতিযোগীতা শেষে অতিথিবৃন্দ বিজয়ী নৌকার মাঝিদের হাতে প্রথম পুরষ্কার হিসাবে
নগদ ৫০ হাজার টাকার চেক ও ক্রেস্ট, দ্বিতীয় পুরষ্কার হিসাবে ৪০ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট এবং তৃতীয় পুরষ্কার হিসাবে ৩০ হাজার ও ক্রেস্ট তুলে দেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *