যশোরে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ

জাতীয়

স্বীকৃতি বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টারঃ

আজ মঙ্গলবার ( ১৩ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে দড়াটানা ভৈরব চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম কমানো, রেশনিং চালু, বিদেশে পাচার কৃত অর্থ উদ্ধার করে দেশে ফেরত আনা, ভৈরব নদ খনন ও খুলনা মহাসড়কের সংস্কারে অনিয়ম – দূর্নীতির বিচার সহ অবিলম্বে যশোর জেলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫শত শয্যা চালু, কৃষকের নামে সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার, ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের জন্য মাঘী পূর্নিমার আগে বিল কপালিয়ায় টি আর এম চালু,বোরো মৌসুমে কৃষি কাজে অর্ধেক মূল্যে সার-বিদ্যুৎ- ডিজেল সরবরাহ, গণতান্ত্রিক অধিকার হরন, সভা-সমাবেশের উপর হামলা ও নিষেধাজ্ঞা মির্জা ফখরুল – মির্জা আব্বাস সহ সারা দেশে গণ আটককৃতদের মুক্তি, নিহত-আহতদের ক্ষতি পূরন প্রদান করে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য
সরকারের পদত্যাগ ও তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং ভাত – ভোটের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের আজকের এ বিক্ষোভ সমাবেশে।

বাম গণতান্ত্রিক জোট যশোর জেলার সমন্বয়ক কমরেড জিল্লুর রহমান ভিটু-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি যশোর জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড আবুল হোসেন, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ যশোর জেলা কমিটির সম্পাদক কমরেড তসলিম উর রহমান, বাংলাদেশের সমাজতন্ত্রিক দল (বাসদ) যশোর জেলা কমিটির সমন্বয়ক কমরেড শাহজান আলী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল ( বাসদ মার্কসবাদী ) যশোর জেলা কমিটির অন্যতম নেতা কমরেড দিলীপ কুমার ঘোষ প্রমুখ।
সভায় বক্তরা বলেন-স্বৈরাচার এরশাদের আমলে আমরা দেখেছি, বিরোধীদের সমাবেশ হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করা হতো। বিএনপির আমলেও দেখেছি জলপথ স্থলপথ বন্ধ করা। আর বর্তমান শেখ হাসিনার সরকারের আমলেও দেখছি, তারাও তাদের উত্তরসুরীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের যোগ সাজশে স্থলপথ ও জলপথের সকল প্রকার জন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে সভা-সমাবেশ রুদ্ধ করার অপচেষ্টা করছেন।
আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলে গণতন্ত্র ও ভোটের জন্যে আন্দোলন করে কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে অগণতান্ত্রিক আচরণ করে। স্বাধীনতা পরবর্তী ৫১ বছরের এই বাংলাদেশে আমরা লক্ষ্য করেছি- যারা যখন ক্ষমতায় যান, তারা ক্ষমতা পেয়েই দুঃশাসন কায়েম করেন। লুটেরাদের পৃষ্টপোষকতা করেন, বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সহযোগিতা করেন এবং ব্যাংক লোপাটকারীদের সহায়তা করেন। আর বর্তমান সরকার এসব বিষয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন- গত ১১ বছরে এই দেশ থেকে ১১ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, গত মাসেই একটি ব্যাংক থেকে এক ব্যক্তি ৩০ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। এছাড়া, অন্যান্য ব্যাংক মিলিয়ে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। যারা এই ব্যাংক লোপাটের সাথে জড়িত, তাদের নিয়ে কেউ প্রশ্ন উত্থাপন করলে তিনি গায়েবি মামলার শিকার হন, গুম হয়ে যান, হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে যান। গ্রাম ও শহরের মানুষ যখন অধিকার আদায়ের জন্য সচেষ্ট হন তখন তাদের নানা হয়রানি করা হয়।
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের কথা বলে সরকার তাদের সব পাপ কাজ আড়ালের চেষ্টা করছেন দাবি করে বক্তারা বলেন -এই যুদ্ধের কথা বলে তারা সাধারণ মানুষের পকেট কাটার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ফলে হু হু করে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *