স্বীকৃতি বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টারঃ

গতকাল(১৯ সেপ্টেম্বর) সোমবার ও আজ (২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার যশোর গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ টীম দেশের ৫ জেলায় অভিযান চালিয়ে যশোরের নওয়াপাড়া নৌবন্দরে নোঙর করা দুটি লাইটার জাহাজ থেকে লুট করা ৮০ টন ডিএপি সার উদ্ধারসহ লুটের সাথে জড়িত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাহিরঘাট এলাকার নবাব আলী গোলদারের ছেলে হুমায়ুন কবীর(৩৫), তেঁতুলতলা মসজিদ এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে সোহাগ হোসেন(৩০), ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের অমল শিকদারের ছেলে অনিমেশ শিকদার(৩৫), খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কলমিগুনিয়া গ্রামের সুদান্ন সরকারের ছেলে ভুপাল সরকার(২৭), পিরোজপুর সদর উপজেলার পশ্চিম শিকারপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে ফয়সাল মোরশেদ সজীব (৩০), ঝাটকাটি গ্রামের বিমল সরকারের ছেলে লিখন সরকার(৩৯), কুমিরমারা গ্রামের মোবারক আলী শিকদারের ছেলে আক্কাস আলী শিকদার(৪২), যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামের আব্দুর রহিম মোড়লের ছেলে তরিকুল ইসলাম(২৫) ও বাগেরহাটের মংলা উপজেলার মেছেরশাহ সড়কের আবুল কালামের ছেলে পারভেজ আহম্মেদ রাজু(২৭)।

আজ দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রূপম কুমার সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন- সরকারের ভর্তুকি দেওয়া ডিএপি সার আমদানির দরপত্র পায় যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়াস্থ মেসার্স আফিল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এবং প্রতিষ্ঠানটি চীন থেকে ১৩শ’ মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করে। মংলা বন্দরে সার খালাসের পর তা দুইটি লাইটার জাহাজে করে যশোর নওয়াপাড়া নৌবন্দরে আনা হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে বন্দরে নোঙ্গর করা লাইটার জাহাজ থেকে কর্মীদের সহায়তায় অজ্ঞাত চোরেরা ১২০ টন সার চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরের দিন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

ডিবির ওসি রূপম কুমার সরকার আরও বলেন- মামলা পাওয়ার পর সার উদ্ধার ও জড়িতদের আটকে তদন্ত শুরু করে যশোর ডিবি পুলিশ। এরপর সোমবার ও মঙ্গলবার যশোরের নওয়াপাড়া, বাগেরহাট, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ ও ঝিনাইদহসহ ৫ জেলায় একযোগে অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া ১২০ টন সারের মধ্যে ৮০ টন সার উদ্ধার করা হয় এবং এসময়ে জড়িত ৯জনকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও জানান- আটককৃতদের মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।