স্বীকৃতি বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টারঃ
বিজয়ের ৫১ বছরকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে বিজয় দিবসের প্রাক্কালে যশোর জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ‘সম্প্রতির বাংলাদেশ; সংস্কৃতির বাংলাদেশ’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে বিজয়ের ৫১ বছর উপলক্ষে চারদিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করেছে।
আজ বিকাল ৪ টায় স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিত্বসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে ৫১টি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনকালে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি বলেন- মুক্তিযুদ্ধে যশোর এক গৌরবময় উজ্জ্বল জেলা। এ জেলার ভূমিকা ইতিহাস সমৃদ্ধ।মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যারা বিরোধিতা করেছিলো সেই সাম্প্রদায়িক শক্তি আবারও শকুনের চক্ষু দিয়ে এদেশের স্বাধীনতা ধ্বংস করার জন্য নানা প্রকার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শপথ নিতে হবে সকল প্রকার চক্রান্ত এবং সাম্প্রদায়িক শক্তি বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে লড়াই করার। আজকের এই চমৎকার দিনে আমি আশা করি স্বাধীনতার পক্ষে কোন আপোষ করব না। যশোরের সাংস্কৃতিক জোট স্বাধীনতার পক্ষে যে চমৎকার ভূমিকা নেয়; সেটা প্রশংসিত। যশোরের মুক্তিযুদ্ধের গৌরব ইতিহাস তারা যে ধারণ করে যাচ্ছে সেটা আসলেই নতুন প্রজন্মের কাছে একটা বার্তা পৌচ্ছে দিচ্ছে বারংবার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- যশোর জেলার জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, যশোর পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর যশোরের মুজিব বাহিনীর প্রধান আলী হোসেন মনি, ডেপুটি প্রধান রবিউল আলম, সরকারি এম এম কলেজের অধ্যক্ষ মর্জিনা আক্তার, প্রেস ক্লাব যশোরের সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুকুমার দাস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের উজ্জীবনী সংগীত ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শেষ গান ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’ পরিবেশন করেন শিল্পীরা।
এরপর যশোরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও নাটক পরিবেশন করেন। একের পর এক দলীয় ও একক গান ও নৃত্যের মুগ্ধতা ছুঁয়ে দেয় দর্শকদের।
উল্লেখ্য আগামীকাল থেকে বিভিন্ন উপজেলার শিল্পীরা সংগীত নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করবেন।