অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন। একই সঙ্গে দুই মাসের মধ্যে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
এর আগে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ মামলায় জি কে শামীমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেন।
ওইদিন জি কে শামীমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফিদা এম কামাল এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জি কে শামীমকে জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মাহমুদ হোসেন তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন দেন। পরে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ওই ভবন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অভিযানের সময় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়। এর মধ্যে দুই মামলায় তার সাজা হয়েছে।
২০২৩ সালের ১৭ জুলাই মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। বাকি সাত আসামিকে (জি কে শামীমের দেহরক্ষী) চার বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া তাদের সম্মিলিতভাবে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
চার বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে শরীফ, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।
রায়ে আদালত তার জব্দকৃত সব ব্যাংক হিসাব ও অস্থাবর সম্পত্তি অবমুক্ত করার আদেশ দেন।
এ ছাড়া ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম।
দণ্ডিত অন্যরা হলেন জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষী মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।
শেয়ার করুন