‘যারা আমাদের এতিম করেছে, আমরা তাদের ফাঁসি চাই’

জাতীয়

কুমিল্লার মোগলটুলী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ (৬০)। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ১০দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

গতকাল শুক্রবার বাদ আসর জানাজা শেষে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব কাজীরগাঁও গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

শেষ বারেরমত বাবার মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতের বড় মেয়ে। তিনি বলেন, যারা আমাদের এতিম করে দিয়ে গেল, আমরা তাদের ফাঁসি চাই, আর কিছু চাই না।

তিনি বলেন, ‘আমার বাবা ছাত্রদের পক্ষ নিয়ে শুধু বলেছিল- তোমরা আন্দোলন করে যাও, দেশকে বাঁচাও’ পরবর্তীতে তোমরা কোনো ধরনের সমস্যায় পড়লে আমি তোমাদের সব ধরনের আইনি সহযোগিতা দেব। এ ক্ষোভেই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর রায়হান ও তার সহযোগীরা বাবার ওপর হামলা করে। খুব কাছ থেকে রায়হান বাবাকে গুলি করে। এতে মেরুদণ্ডসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে গুলি লেগে তিনি সেখানেই লুটে পড়েন। পরে স্থানীয়রা বাবাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেলে ১০দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান বাবা।

এদিকে তাদের সান্ত্বনা দিতে শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. শরীফুল ইসলামসহ একদল আইনজীবী আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে যান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক শাহাদাত হোসেন বলেন, যেহেতু নিহত আবুল কালাম আজাদের পরিবারের হাল ধরার জন্য কোনো ছেলে নেই, তাই এখন আমরাই তার পরিবারের পাশে থাকবো। এছাড়াও তার বড় মেয়ের চাকরির ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *