কে হচ্ছেন বঙ্গভবনের নতুন বাসিন্দা। রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে নানা আলোচনা ও কৌতূহল। সামাজিক মাধ্যমে এরইমধ্যে ভাইরাল হয়েছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এমনকি অনেকে অভিনন্দনও জানাচ্ছেন তাকে। সে যাই হোক নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম যে বিবেচনায় রয়েছে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
একাডেমিক পর্যায়ে খ্যাতিমান আইনজীবী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন মন্ত্রিসভায় স্থান দেন তখন তা খুব বেশি বিস্ময় তৈরি করেনি। তবে প্রায় দশ বছর আগে তার স্পিকার হওয়া ছিল চমক জাগানিয়া। এক্ষেত্রে আলোচনায় ছিল তার পারিবারিক ঐতিহ্যের বিষয়টিও। তার পিতা রফিকুল্লাহ চৌধুরী স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ছাত্রলীগ নেতা হিসেবেও রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পারিবারিক ও রাজনৈতিক ঐতিহ্যের পাশাপাশি শিক্ষা জীবনে অত্যন্ত কৃতিত্ব দেখান শিরীন শারমিন চৌধুরী।
স্পিকার হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালনকালে তিনি ছিলেন অনেকটা বিতর্কের বাইরে। বিশ্বস্ততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। এসব বিবেচনায় শিরীন শারমিন চৌধুরীর প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
একটি সূত্র বলছে, আটকে থাকা ফাইল মুক্ত করে দেয়ার ব্যাপারে সম্প্রতি স্পিকার দপ্তরের তৎপরতা বেশ বেড়েছে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, স্পিকারের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনার নেপথ্যে আরেকটি বিষয়ও আলোচনায় রয়েছে। নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের সময়ই আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রেসিডেন্ট সেসময় প্রয়োজনে যেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন তাও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। এটিও আলোচনায় আছে যে, প্রেসিডেন্টকে প্রয়োজনে নির্বাচনের সময়ে বিশেষ কিছু ক্ষমতা দেয়া হতে পারে। তবে এর পুরোটাই নির্ভর করবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর।
সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।