সিলেটের জৈন্তাপুরসহ দেশের ১৩টি এলাকা ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। সবচেয়ে তীব্র ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকা। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলাও এমন ঝুঁকিতে। ভূগর্ভস্থ ফাটল বা চ্যুতি থাকার কারণে ওই কম্পন হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষকের গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। খবর ‘প্রথম আলো’র।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের ভেতরে ১৩টি ভূগর্ভস্থ চ্যুতি রয়েছে। তবে তার সব কটি ঢাকা থেকে বেশ দূরে। কিন্তু সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামে মাঝারি থেকে তীব্র ভূমিকম্প হলে ঢাকায় অনেক ভবন ভেঙে পড়তে পারে।
শুক্রবার (৩ মার্চ) তুরস্কে হয়ে যাওয়া ভূমিকম্পের চেয়ে কম মাত্রার ভূমিকম্পেও আরও বড় ক্ষতি হতে পারে।
বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এক যৌথ গবেষণায় দেখা যায়, ভারতের আসামে ১৮৯৭ সালে রিখটার স্কেলে ৮ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল সিলেটের একেবারেই কাছে এবং ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে। ওই সময় ঢাকায় মাত্র ১০০টি পাকা দালান ছিল, অধিবাসী ছিল ৯০ হাজার। ওই ভূমিকম্পে আহসান মঞ্জিলসহ ১০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিলেটেও হয় ক্ষয়ক্ষতি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তুরস্কের ভূমিকম্প থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। দেশে যে কোনো সময় বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। সাধারণত এ ধরনের ক্ষেত্রে সাত বা আট মাত্রার ভূমিকম্প হয়ে থাকে। কিন্তু কবে বা কখন সেটা হবে, এ বিষয়ে এখনো বিজ্ঞানীদের ধারণা নেই।
সুনামগঞ্জ, জাফলং অংশে ডাউকি ফল্টের পূর্বপ্রান্তেও ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন। এসব ফল্টে ভূমিম্প হলে সিলেট ও ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বা বিপদের মাত্রা অনেক বেশি রয়েছে।