সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে জঙ্গী, সন্ত্রাস ও মৌলবাদের স্থান নেই। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সেতুবন্ধন চায় সরকার। যাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রত্যেকেই ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, রথযাত্রা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হলেও উৎসব বাঙালি সংস্কৃতির সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। সকল অপশক্তি বিনাশ করে এ ধারা আমাদের বজায় রাখতে হবে।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে বিয়ানীবাজার বাসুদেব বাড়ি প্রাঙ্গণে উল্টো রথযাত্রা উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। ব্যক্তিস্বার্থের কারণে তাদেরকে নিয়ে কটুক্তি, বিদ্রুপ করা মোটেও কাম্য নয়। তাঁরা যুদ্ধ করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেছেন বলেই আমরা বিভিন্নক্ষেত্রে মেধার সাক্ষর রাখতে পারছি। তিনি দেশ ও জাতির কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সবাইকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
বাসুদেব সেবক সংঘের সভাপতি ও বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক দ্বারকেশ চন্দ্র নাথের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুণাভ মোহন পাল চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র ফারুকুল হক, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য খসরুল হক, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ হোসেন খান, সাপ্তাহিক বিয়ানীবাজার বার্তা পত্রিকার সম্পাদক ছাদেক আহমদ আজাদ, বিয়ানীবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর মিছবাহ উদ্দিন ও এনাম হোসেন, জেলা যুবলীগ নেতা আহমদ হোসেন খান।
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির খান বাসুদেব বাড়ি পুকুরের ঘাট ও গার্ডওয়ালের উন্নয়নে বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেন। পরে তিনি বিয়ানীবাজার জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আহমেদ ফয়সালের বাড়িতে যান এবং তার মায়ের মৃত্যুতে সমবেদনা জানান।
এর আগে তিনি বিয়ানীবাজার পৌরশহরে অবস্থিত জেলা পরিষদের মালিকানাধীন পুকুর এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত জনতার অনুরোধের প্রেক্ষিতে সেখানে পুকুর বহাল রেখে একটি বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের আশ্বাস দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান।
শেয়ার করুন