রশিদে কমিশন দিয়েও বাজারমুখী করা যাচ্ছে না বিক্রেতাদের

মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় কোরবানীর গরুর হাট যেন গোটা উপজেলা জুড়ে। রাস্তার পাশে পথে পথে যেন গরুর হাট। এদিকে প্রধান প্রধান হাটবাজারগুলোতে বিক্রেতাদের টানতে গরুর রশিদে কমিশনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। কিন্তু মন গলছে না ক্রেতা বিক্রেতাদের।

কুলাউড়া উপজেলায় প্রধান প্রধান গরুর হাট যেমন- পৌরসভা গরু ছাগলের হাট, ব্রাহ্মণবাজার, রবিরবাজার, কটারকোনা, পীরের বাজার এসব বাজার ছাড়াও জেলা প্রশাসকের অনুমতি ক্রমে বেশিরভাগ ইউনিয়নে কোরবানী ঈদকে উপলক্ষ্য করে অস্থায়ী কোরবানীর হাট স্থাপ করা হয়েছে। কিন্তু এসব বাজারে নেই  ক্রেতা বিক্রেতাদের আগ্রহ। ক্রেতারা ছুটছেন মুলত স্থানীয় খামারিদের কাছে। কোরবানী হাটে তাদের অনাগ্রহের কারণ জানতে গেলে বেশির ভাগ ক্রেতাই জানান, তারা আমদানীকৃত গরু কিনতে চাননা। গৃহপালিত কিংবা স্থানীয় খামারে পালিত গরু বেশি দামে হলেও কিনতে চান।

এদিকে কোরবানীর হাটগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকায় বাজার ইজারাদাররাও হতাশ। তাদের মতে, এমন পরিস্থিতি আগে ছিলো না। চলতি বছর সব বেশিরভাগ ক্রেতাই হাট বাজার বিমুখ। বেশির ভাগ খামারিরা তাদের গরু খামার থেকেই বিক্রি করতে চাইছেন। ফলে বাজারে গরুর সংখ্যা কিংবা বিক্রেতাদের ভীড় কম হওয়ার কথা। কিন্তু এতো গরু আসে কোত্থেকে? এগুলো খতিয়ে দেখা উচিত। সীমান্তের ওপার থেকে আসা চোরাই গরুর কারণে খামারিরা তাদের গরুর সঠিক মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন।

খামারি মানজুরুল হক জানান, তার খামারে ৯টি গরু রয়েছে। প্রথমদিকে গরুর দাম সাড়ে ৯ লাখ হাকিয়েছেন গরুর পাইকার (বিক্রেতা)। কিন্তু তিনি চাচ্ছেন ১৩ লাখ টাকা। তিনি জানান, গরুর খাদ্য, ঔষধ ও পরিচর্যার লোকের খরচসহ এই মূল্য খুব একটা বেশি নয়। তবে ভারতীয় চোরাই গরুর কারণে দাম তুলনামুলক কম।

উপজেলার সবচেয়ে বড় গরুর হাট ব্রাহ্মণবাজারের ইজারাদার নুরুল ইসলাম খান বাচ্চু জানান, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে যেকোন সাইজের গরু, যতটাকা মূল্যেরই হোক না কেন, সেটির রশিদ করতে ক্রেতাকে দিতে হবে মাত্র এক হাজার টাকা। তারপরও ক্রেতারা বাজার বিমুখ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *