রাজধানীতে দখল আর চাঁদাবাজির হাতবদল, নগরবাসীর ক্ষোভ

জাতীয়

রাজধানীতে পুরোনোদের সরিয়ে নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে দখলদার আর চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট। বিশেষ করে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নামে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অফিস দখলে নেয়ার সত্যতা মিলেছে। অনেক জায়গায় ফুটপাত দখল করে বসানো হচ্ছে দোকান। এমন দখল আর চাঁদাবাজির ধারাবাহিকতা আর চান না নগরবাসী। তাদের প্রত্যাশা অন্তর্বর্তী সরকার এ ব্যাপারে কঠোর হবে।

ছাত্র জনতার প্রবল আন্দোলনে একনায়ক শাসন ব্যবস্থার অবসান হয়েছে। এখন চাওয়া দুর্নীতি, লুটপাট, চাঁদাবাজিসহ দুষ্ট চক্রের অবসান। কিন্তু এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার শুরু হতে না হতেই নতুন দখলদারি প্রতিষ্ঠা করতে রাজধানীর কিছু স্থানের মরিয়া দেখা যাচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীদের।

আওয়ামী লীগের ফেলে যাওয়া ইউনিট অফিসে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের সাইনবোর্ডের দেখা মিলছে। আবার কোথাও ফুটপাত দখল করে, এমনকি দেয়ালে নিজেদের দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা দেখা গেছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এমন কিছু অফিসে গেলে দলীয় কোন কর্মীর দেখা পাওয়া যায়নি। নেই কোনো কার্যক্রমও। স্থানীয়রা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়ার আগে বিশেষ করে পুলিশ ও সরকারবিহীন সময়ে এসব দখল করা হয়েছে। আশঙ্কা আছে পুরাতন চাঁদাবাজদের জায়গায় নতুন চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট গড়ে ওঠার।

স্থানীয়রা জানান, এখন বিএনপির পোস্টার দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় কিন্তু ব্যক্তি কারা সেটা বুঝা যাচ্ছে না। কিন্তু যারাই ক্ষমতায় আসুক ভালো করে যেনো মানুষ ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারে এটাই প্রত্যাশা।

মোহম্মদপুরের শ্যামলী ক্লাব। খেলার মাঠে এই ক্লাবটিকেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ নিজেদের অফিস বানিয়ে ফেলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি করা হতো এখানে। সবার প্রত্যাশা আগামীতে সত্যিকার অর্থেই ক্রীড়া ও মানস গঠনে এলাকার কেন্দ্রবিন্দু হোক এই ক্লাব।

এলাকাবাসীরা জানান, আগে এখান থেকে চাঁদাবাজি করা হতো। মাঠের পাশে ফুট বসতো, সেখান থেকেও চাঁদা নেয়া হতো। এই মাঠে খেলার জন্য সব সময় খোলা থাকুক। কিন্তু আগে এখানে গাড়ির মেলা হতো। বিভিন্ন ধরণের মেলা বসতো। এটা কারও প্রত্যাশা না।

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে তো বটেই বিএনপির শীর্ষ নেতারা বারবার দখলদারি, চাঁদাবাজি থেকে রাজনৈতিক কর্মীদের দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূলের এর প্রতিফলন কমই দেখা যাচ্ছে।

সম্প্রতি একটি সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছিলেন, কোথাও কোনো চাঁদাবাজি হলে সে যেয়েই হোক আমাকে জানাবেন। এই ধরণের অপকর্ম যারা করবেন তাদের ছাড় নেই।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *