রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫২-৫৫ শতাংশ এবং সিলেটে ৪৬ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিল বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
দুই সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। বললেন, রাজশাহী-সিলেটে অবাধ, সুষ্ঠু ও আনন্দময় পরিবেশে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটায় সন্তুষ্ট বোধ করছি। ভোটাররা অবাধ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
রাজশাহীতে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার চোখ এড়িয়ে একজন কীভাবে অনিয়ম করলো তা নিয়ে কমিশন তদন্ত করবে বলেও জানান সিইসি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন দেখে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভোটাররা উৎসাহী হবেন। তারা ভোটকেন্দ্রে যেতে অনুপ্রাণিত হবেন।
এদিকে, রাজশাহী-সিলেটে বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে দুই সিটিতে ভোট নেয়া শুরু হয়। দিনভর নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে দুই সিটির ভোট পর্যবেক্ষণ করেন নির্বাচন কমিশনাররা।
সিলেটে মেয়র লড়ছেন আট জন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র মো. আব্দুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, মো. শাহ জাহান মিয়া এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
আর ৪২টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই সিটিতে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন।
এদিকে, পদ্মা নদীর পাড়ের শহর রাজশাহীতে মেয়র প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন, আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুরশিদ আলম এবং জাকের পার্টির মো. লতিফ আনোয়ার।
রাজশাহী সিটিতে ২৯টি ওয়ার্ডে ১১১ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর পাশাপাশি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৪৬ জন। রাজশাহী নগরে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন।
শেয়ার করুন