রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েলের বিরুদ্ধে ভিজিডি ভিজিএফসহ অনিয়ম, দুর্নীতি, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জ

দিরাই(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিলেট মহানগর যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জুয়েলের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ঘটিকায় দিরাই পৌর শহরস্থ থানা পয়েন্ট মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে রাজানগর ইউনিয়ন বাসী।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ইউপি সদস্য সাইদ আহমদ খসরু, সাবেক ইউপি সদস্য হাসান আহমদ ছাও মিয়া,ভুক্তভোগী ব্যবসাহী মাসুক মিয়া, শ্রিপ্রা রানী দাস, আরিজা বেগমসহ স্থানীয় কয়েক জন ভুক্তভোগী। বক্তারা বলেন, জহিরুল ইসলাম জুয়েল নির্বাচিত হবার পর থেকে বিভিন্নভাবে অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, পরিষদের সদস্যকে মারধর ও চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন। ভিজিডি ভিজিএফসহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করছেন। চেয়ারম্যান পরিষদের কার্যালয়ে আসেন না। বাড়িতে অফিস করেন। চেয়ারম্যানের চাহিদামতো টাকা না দিলে জন্মনিবন্ধন, ট্যাক্স ট্রেড লাইসেন্স- হোল্ডিং কর আটকে দেন। ভুক্তভোগী অটো রাইস মিলের ব্যবসায়ী ইউনিয়নের ধাপকাই গ্রামের মাসুক মিয়া বলেন, ট্রেড লাইসেন্সের জন্য চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি ট্যাক্স পরিশোধ করতে বলেন। আমার হালনাগাদ ট্যাক্স পরিশোধ করা আছে জানাই এবং রশিদ দেই। চেয়ারম্যান রশিদ ছিড়ে ফেলেন। পুনরায় ট্যাক্স বাবদ আমার কাছ থেকে ১০হাজার টাকা নিয়েছেন। এ সময় তিনি চলতি বছরের ১৪ মার্চ প্রথমবার ৩শ টাকা ও ১১ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বার ১০হাজার টাকা ট্যাক্স পরিশোধের রশিদ পরিশোধ করা ২ লাখ টাকা দাবী করে। দুই বছর ঘুরে ট্রেড লাইসেন্স না পেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।
বক্তারা বলেন, রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জুয়েল নির্বাচিত হওয়ার পর পরই তিনি ইউনিয়ন পরিষদকে নিজের সম্পত্তি মনে করেছেন। তিনি পরিষদের নির্বাচিত মেম্বারদের বার বার অশুভনীয় আচরণ করেন। তাদের মতামত উপেক্ষা ও কিছু সদস্যকে বাড়তি সুবিধা দিয়ে অন্যদেরকে বিভিন্নভাবে বঞ্চিত করছেন। তারা আরও বলেন, এই ইউনিয়নের এলাকার ভেতরে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, লাইসেন্স আনতে গেলে তিনি বারতি টাকা দাবি করে বসেন। অন্যথায় লাইসেন্স দিতে অপারগতা কিংবা নানা তালবাহানা খুঁজেন। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে এবং পরস্পরের মধ্যে বিরোধ তৈরি হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তারা। এ সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে সরকারের স্থানীয় পর্যায়সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এ ইউনিয়নের ভূক্তভোগীরা।
এব্যপারে রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েলের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভায় যে বা যাঁহারাই ছিল চোর,মাদক ব্যবসাহীদের মদত দাতা আনিত অভিযোগ সমস্তই মিথ্যা ও বানোয়াট।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *