নিজস্ব প্রতিবেদক :
বংশগত রোহিঙ্গা। সাংবাদিকতা করার মতো নেই কোন নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা। পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বিরুদ্ধে রয়েছে ঘৃণিত নানান অপকর্মের অভিযোগ। প্রতিনিয়ত অব্যাহত রয়েছে তাদের নানান অপরাধ প্রবনতা। এসবের সামাল দিতে বেছে নিয়েছেন সাংবাদিকতা। এমন মানসিকতার অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার শহরের নয় নং ওয়ার্ড বাদশা ঘোনা এলাকার আবুল কাসেম ওরফে বার্মাইয়া কাসেম খলিফার ছেলে ছৈয়দুল আমিন নামক এক বকাটের বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, সাংবাদিক পরিচয় দানকারী এই রোহিঙ্গা বংশধর বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে। তার ভয়ভীতি প্রদর্শনে রীতিমতো ভীতসন্ত্রস্ত অনেক অসহায় মানুষ।
তারা জানান, এই ছেলেটা একসময় কক্সবাজার জেলা শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালের সামনে রোগীর দালালী করতো। কিছুদিন পর তিনি নিজেকে মানবাধিকার সংগঠনের নেতা পরিচয় দিতেন। হঠাৎ দেখি তিনি সাংবাদিক পরিচয়ে নানাভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেন। এছাড়াও তিনি পুলিশ সদস্যদের অজান্তে নিজেকে তাদের সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে বলে অনেক অসহায় মানুষের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেন বলেও জানান।
অনুসন্ধানে জানা যায়,বাহারি পরিচয়ের এই ভুয়া সাংবাদিক একসময় রোগীর দালালী পরবর্তী উক্ত শহরে ডিজিটাল হাসপাতাল নামক একটি প্রাইভেট হাসপাতালের কর্মচারী হিসেবে চাকরি করতেন।
পরবর্তীতে তিনি একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের রিপোর্টার হিসেবে যুক্ত হওয়ার কিছুদিন পরে তার ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অপকর্ম এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিউজ পোর্টাল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
কিছুদিন পরে তিনি নিজের তথ্য গোপন করে একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। যা দ্বারা বহুমাত্রিক প্রভাব অর্জন করে অসহায়ের নিকট নিজেকে প্রভাবশালী হিসেবে জাহির করতে চিন্তামুক্ত হয়।
তথ্য মতে, এই যুবকের পুরো পরিবার রোহিঙ্গা। ইতিপূর্বে জেলা ব্যাপী বাংলাদেশী এন আই ডি ভুক্ত হওয়া অনেক রোহিঙ্গাদের এন আই ডি বাতিল করার সরকারের বিশেষ একটি গোয়েন্দা বিভাগ তালিকা তৈরি করেছিল যেখানে রয়েছে তাদের পরিবারের সদস্যদের নাম।
এছাড়াও এই অপ-সাংবাদিকের বড় ভাই ওসমানের বিরুদ্ধে রয়েছে অস্ত্র, ডাকাতি, চুরি-ছিনতাই সহ অসংখ্য মামলা। আরেক ভাই নুরুল আমিন ইতিপূর্বে বিশাল ইয়াবার চালানসহ রেপিড একশন ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন।
এককথায় রোহিঙ্গা বংশধর এই যুবক পরিবারের অপকর্ম টিকিয়ে রাখতে নিজেকে স্থান-কাল বুঝে পরিচয় জাহির করে থাকেন। যার সুবাধে অব্যাহত রয়েছে তাদের নিত্য দিনের নানান অপরাধ প্রবনতা। প্রতিনিয়ত দীর্ঘ হচ্ছে নীরব দর্শকের তালিকা। কেননা তার সাথে রয়েছে একাধিক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর যোগসূত্র। এছাড়াও কোমরে সাংবাদিকতার কার্ড ঝুলিয়ে রাতের আঁধারে সখ্যতা গড়ে উঠা পুলিশ কর্মকর্তার সাথে অপারেশনে যাওয়ার কথা বলে বেড়ান এই টাউট। মুলত এই ভীতিতেই তার এবং পরিবারের সদস্যদের শত অপরাধেই নিস্তব্ধ এলাকাবাসী।
নানান পরিচয়ের এই ভুয়া সাংবাদিকের বেপরোয়া বন্ধের জন্য সরকারের বিশেষ একটি গোয়েন্দা বাহিনীর পক্ষ থেকে সম্প্রতি তাকে সতর্কীকরণ করেছেন বলে জানাযায়।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কথিত এই সাংবাদিক বলেন,এবিষয়ে জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল দিয়েও রিসিভ না করার কারণে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
পেশাদার সাংবাদিকদের মতে, ভূয়া সাংবাদিকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। এরা সাংবাদিকের পরিচয়ে পুলিশের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে নিজেদের অপরাধ অব্যাহত রাখে।
এছাড়াও যাদের মানবাধিকার সম্বন্ধে নূন্যতম জ্ঞান নেই তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে মানবাধিকার কর্মীর আইডি কার্ড।
মানবাধিকার নামক কিছু সংস্থায় কাজ করে অনেক পেশাদার অপরাধী। নিজের নাম লিখতে কলম ভাঙ্গে, সাংবাদিক বলতে গেলে উচ্চারণ করে বসে ‘সামবাদিক’ নিজের সংগঠনটির নাম পর্যন্ত বলতে পারে না-তারাই রাতারাতি মানবাধিকার-সাংবাদিক সংগঠনের নেতা বনে গেছেন। কী সেলুকাস !! কত বৈচিত্র্য আর বিচ্যুতিতে ভরা মহান এই পেশা।
জেলার স্বনামধন্য প্রবীণ সাংবাদিকদের অনেকে বলেন,জাতির আয়না খ্যাত এ পেশাকে টিকিয়ে রাখতে এসব নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন এতে দেশ ও দশের মঙ্গল হবে।
তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
শেয়ার করুন