সিলেট জামেয়া নাজিরেরগাঁও শাখায় সীরাতুন্নবী (সা.) মাহফিল অনুষ্ঠিত

সিলেট

সিলেট জামেয়া নাজিরেরগাঁও শাখায় সীরাতুন্নবী (সা.) মাহফিল অনুষ্ঠিত

রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জানতে ও মানতে হবে এবং তাঁর আদর্শের দিকে মানুষদের ডাকতে হবে
—মাওলানা হাবীবুর রহমান

ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা হাবীবুর রহমান বলেছেন, যারা এই দুনিয়ায় আল্লাহর রাসুলের (সা.) জীবনকে আদর্শ জীবন হিসেবে গ্রহণ করবে, তারাই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করবে। জান্নাত লাভ করবে। তিনি ছাড়া অন্য কোনো আদর্শ ব্যক্তিত্বকে ফলো করলে সেইরকম সফলতা আসবে না। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জানতে ও মানতে হবে এবং তাঁর আদর্শের দিকে মানুষদের ডাকতে হবে।

তিনি গতকাল মঙ্গলবার শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা নাজিরেরগাঁও শাখা, সিলেট আয়োজিত সীরাতুন্নবী (সা.) মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। শাখা ইনচার্জ মাওলানা জুনাইদ আল হাবীবের সভাপতিত্বে ও শিক্ষক মাওলানা আব্দুস সাত্তার মাসুমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা পাঠানটুলা, সিলেটের সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তায়্যিব সৎপুরী, বর্তমান উপাধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার ও বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার। বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ওয়ায়েজ মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, মাওলানা আমীর হোসাইন ও সমাজসেবক আক্তার হোসেন। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ ফারুক মিয়া, অভিভাবক মাস্টার মফিজুর রহমান, বিদায়ী শিক্ষক তারেক হাসান, শিক্ষক আজিজুর রহমান, মতিউর রহমান, মাহমুদ হোসাইন, মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ, মোকাব্বির হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, মাওলানা জাহিদুল ইসলাম, আলা উদ্দীন ও হোসাইন আহমদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন থেকে তিলাওয়াত করে মাদরাসার ছাত্র আরিফুল ইসলাম নাবিল। ছাত্রদের মধ্য থেকে আরবি, বাংলা ও ইংরেজি বক্তৃতায় অংশগ্রহণ করে যথাক্রমে আবু সালেহ রাহী, এহসানুল হক সালেহ, আক্তার হোসেন ও আব্দুর রব এবং ছাত্রীদের মধ্য থেকে অংশগ্রহণ করে যথাক্রমে হুমায়রা তাবাসসুম, লুবনা আক্তার লাবনী, ফাতেমা জান্নাত, সিদরাতুল মুনতাহা ও জান্নাতুল ফেরদাউস। মাদরাসা কর্তৃক আয়োজিত সীরাত বিষয়ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৫৭ জন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন সম্মানিত অতিথিবৃন্দ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আবু তায়্যিব সৎপুরী বলেন, অন্ধকার থেকে মানবতাকে আলোর পথ দেখানোর জন্যই রাসুলুল্লাহ (সা.) এর আগমন। হেদায়াতের বাণী হিসেবে আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর উপর কুরআনুল কারীম নাযিল করেন। উপাধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার বলেন, অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি ও স্বস্তি প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর রাসুল (সা.) অনন্য ও অতুলনীয় জীবনাদর্শ রেখে গিয়েছেন। মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার বলেন, কালজয়ী ও শাশ্বত জীবনাদর্শ হিসেবে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর জীবনাদর্শ সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে এবং স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *