বিভিন্ন মহলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমার সময় এক মাস বাড়ানো হচ্ছে। বুধবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করতে পারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
আয়কর আইনজীবীদের পর ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইও মঙ্গলবার সময় বাড়াতে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে।
এফবিসিসিআই’র চিঠিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ও চলমান বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতি এবং বর্তমানে শিল্প উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সেবা খাত বিরাট চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে চলছে।
আর্থিকভাবে বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে সময়মতো রিটার্ন দাখিল করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হচ্ছে না বিধায় রিটার্ন জমার সময় এক মাস বাড়ানো প্রয়োজন।
প্রতিবছরের ৩০ নভেম্বর রিটার্ন জমার শেষ দিন, এ দিনটি আয়কর দিবস হিসাবে পালন করে এনবিআর। বারবার রিটার্ন জমার সময় বাড়ানোর সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে ২০১৬ সালে আয়কর দিবসে রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন নির্দিষ্ট করা হয়। এ নিয়ে সে বছরই সংসদে আইন পাশ হয়।
আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন জমা না দিলে জরিমানা, সরল সুদ ও বিলম্ব সুদ আরোপের বিধান রয়েছে। ১২৪ ধারায় বলা আছে, করদাতা যদি কোনো কারণ ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ে রিটার্ন দাখিল না করেন, আবার এজন্য অনুমোদনও না নেন, সেজন্য তার পূর্ববর্তী বছর প্রদেয় করের ১০ শতাংশ বা ১ হাজার টাকার মধ্যে যেটি বড় অঙ্ক, ওই পরিমাণ অর্থ জরিমানা হবে। সেই সঙ্গে যত দিন দেরি হবে, প্রতিদিনের জন্য ৫০ টাকা জরিমানা আদায়ের বিধান রয়েছে।
এনবিআর সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে করদাতাদের সুবিধার্থে কর সেবা মাস পালন করা হচ্ছে। প্রতিটি কর অঞ্চলের নিচে তাঁবু টানিয়ে করদাতাদের রিটার্ন সংগ্রহ করা হচ্ছে। এজন্য রিটার্ন ফরম, চালান স্লিপ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। কর সেবা মাসে ২০ লাখের বেশি করদাতা রিটার্ন জমা দিয়েছেন। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৪২ শতাংশ বেশি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, রিটার্ন জমার সময় বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হবে।
শেয়ার করুন