সিলেট জেলা বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল হত্যা মামলার তিন আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছিলো পুলিশ। গত ১৯ নভেম্বর রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত।
রিমান্ডে এই তিন আসামি কী তথ্য দিলেন, চাঞ্চল্যকর কোনো তথ্য দিলেন কি না- তদন্তের স্বার্থে এসব বিষয়ে এখনই মুখ খুলছে না পুলিশ।
কারাগারে পাঠানো তিন আসামি হচ্ছেন- সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার বাদামবাগিচা আবাসিক এলাকার মিশু আহমদ (২৬), বড়বাজার গোয়াইপাড়ার মনা মিয়া (২৫) ও একই এলাকার কুটি মিয়া (২৪)। এর মধ্যে মিশু মামলার এজাহারভুক্ত ৪, মনা ৬ ও কুটি ৫ নম্বর আসামি।
এদিকে, বিএনপি নেতা কামাল হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত ‘ছাত্রলীগ নেতা’ সম্রাটসহ অন্য আসামিরা এখনও অধরা। ‘খুনি’ সম্রাটের বাড়ি সিলেটের লামাকাজি এলাকায়। তিনি মহানগরের আম্বরখানা মনিপুরী এলাকার একটি বাসায় ভাড়াটে থাকতেন।
গত ৬ নভেম্বর রাত সাড়ে আটটার দিকে সিলেট মহানগরের বড়বাজার এলাকায় প্রাইভেট কারের ভেতরে সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল ছুরিকাঘাতে খুন হন। পরে পুলিশ জানায়- মোটরসাইকেলে করে খুনিরা আ ফ ম কামালের পিছু নিয়েছিলো। বড়বাজার এলাকায় দুর্ঘটনার নাটক সাজিয়ে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয় তাঁকে। ছুরিকাঘাতের পর স্থানীয়রা কামালকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ৮ নভেম্বর রাতে কামালের বড় ভাই ময়নুল হক বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় আজিজুর রহমান সম্রাট নামের ওই ‘ছাত্রলীগ নেতাকে’ প্রধান আসামি করে ১০ জনের নামোল্লেখ করা হয়। মামলা দায়েরে দিন রাতেই এক আসামিকে সুনামগঞ্জ থেকে এবং এর একদিন পর অন্য দুজনকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেটভিউ-কে বলেন- রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই সেসব বলা যাচ্ছে না।
প্রধান আসামি সম্রাটের বিষয়ে তিনি বলেন- এই ৩ জন ছাড়া সম্রাটসহ আর কোনো আসামি গ্রেফতার হয়তি। তবে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শেয়ার করুন