রোববার যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের বিতর্ক পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে। এ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল আগমী ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছাবে। প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা, অ্যাম্ব্যাসেডর-অ্যাট-লার্জ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন।’

প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীর সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে লন্ডনে বিমানের ফ্লাইটে এবং সেখান থেকে অন্য একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র যাবেন। সফরসঙ্গীর সংখ্যা ইদানিং খুব কমে গিয়েছে। ব্যবসায়ীরা নিজ অর্থে যাবেন। আমরা সরকারের কৃচ্ছ্রসাধনের জন্য খুব কম সংখ্যায় যাচ্ছি। সম্প্রতি আমরা যে সফরটিতে গিয়েছিলাম নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছাড়া মাত্র ১২ জন গিয়েছিলাম।’

এ সময়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রী ও সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারাসহ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা যাবেন।’

ড. মোমেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বাস পুনর্গঠন এবং বিশ্বব্যাপী সংহতি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয় এবারের অধিবেশনে গুরত্বপূর্ণ আলোচনা হবে। বৈশ্বিক শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ২০৩০ এজেন্ডা এবং এর টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন সংক্রান্ত আলোচনাও এবারের অধিবেশনে বিশেষ প্রাধান্য পাবে।’

তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বছরের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ২২ সেপ্টেম্বর সাধারণ বিতর্ক পর্বে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করতে পারেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যখাতে সাফল্য ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোকপাত করবেন। পাশাপাশি, বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক সংকট, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত বিষয়সমূহ তাঁর বক্তব্যে উঠে আসবে। পাশাপাশি প্রতি বছরের মতো সাধারণ বিতর্ক পর্ব চলাকালীন বেশ কিছু উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী অংশগ্রহণ করতে পারেন।’

জাতিসংঘে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত সফরও করবেন প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘এ সফরে কিছ দেশ, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক/আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার প্রধানগণ প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন।’

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *