র্যাপিড
অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯ ও র্যাব-১ এর পৃথক অভিযানে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন ডাকাত দলের সদস্য ও ৩ জন হত্যা মামলার আসামি।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জের বিরামচর ও কাজিরগাঁও থেকে ৪ ডাকাত এবং বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানাধীন পরীবাড়ি বাস স্ট্যান্ড গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার এমসি বাজার থেকে হত্যা মামলার ৩ আসামিকে গ্রেফতার করে র্যাব-৯ ও র্যাব-১।
র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সিনিয়র এএসপি মশিহুর রহমান সোহেল জানান- তাদের শায়েস্তাগঞ্জ (সিপিসি-৩) ক্যাম্পের একটি দল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে শায়েস্তাগঞ্জ থানাধীন বিরামচর ও কাজিরগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একাধিক মামলার আসামি ও জেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন হবিগঞ্জ সদর থানার সুঘর গ্রামের আব্দুল কদ্দুছ মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (৩২), হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ওলিপুর গ্রামের মৃত জলফু মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া (৩৪), হবিগঞ্জ সদর থানার সানাবই গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে রহমত আলী (৩২) ও সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার থানাগাঁওয়ের আলাই মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া হরফে হৃদয় (২২)।
এর মধ্যে ফারুক মিয়ার বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় ১৯টি, স্বপন মিয়ার বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় ১৭টি, রহমত আলীর বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে হবিগঞ্জ জেলার একাধিক থানায় ৫টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তারা পলাতক ছিলেন।
অপরদিকে, র্যাব-৯ ও র্যাব-১ এর যৌথ অভিযানে অটোরিকশাচালক মো. বিল্লাল মিয়া হত্যা মামলার পলাতক ৩ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানাধীন পরীবাড়ি বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ হত্যা মামলার অন্যতম দুই আসামিকে গ্রেফতার করে র্যাব। তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার শরীয়তনগর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে মো. আল আমিন (৪০) ও একই থানার তালশহর গ্রামের মৃত শেখ জহিরুল ইসলামের ছেলে মো. শেখ রুবেল আহমেদ।
পরে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার এমসি বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে দ্বীন ইসলাম (৩৪) নামে আরেকজন আসামিকে গ্রেফতার করে র্যাব-১। তিনি আশুগঞ্জ থানার লালপুর নিয়াগাঁওয়ের মৃত মাজু মিয়ার ছেলে।
র্যাব জানায়, ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সকালে আশুগঞ্জ থানাধীন লালপুর ইউনিয়নস্থ লামাবায়েক আখড়ার দক্ষিণ পাশে রাস্তার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় অটোরিকশাচালক মো. বিল্লাল মিয়া (৬০)-এর মরদেহ পড়েছিলো। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। লাশের পিঠে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ও গলায় কাটা দাগ ছিলো। পরে তার স্ত্রী বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার ৫ বছর পর এ মামলার অন্যতম ৩ আসামিকে গ্রেফতার করলো র্যাব।
পৃথক অভিযানে গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
শেয়ার করুন