লিটন দাসদের মতে, টি-২০ ফরম্যাটে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সামর্থ্যের একটা সীমা আছে। পাকিস্তানকে ওই সীমার মধ্যে রাখেন বোলাররা। রিজওয়ানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পরও ১৬৭ রান আটকে যায় পাকিস্তান। কিন্তু মিডল অর্ডারে হঠাৎ ব্যাটিং ধসে লক্ষ্য নাগালে পেয়েও ২১ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে টস পক্ষে আসে বাংলাদেশের। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বিশ্রামে থাকায় নেতৃত্বভার পাওয়া নুরুল হাসান শুরুতে বোলিং নেন। ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫২ রান যোগ করেন। অধিনায়ক বাবর ২৫ বলে চারটি চারে ২২ রান করে ফিরে যান।
তিনে নেমে শান মাসুদ খেলেন ২২ বলে ৩১ রানের ইনিংস। তিনি চারটি চার ও এক ছক্কা তোলেন। রিজওয়ানের সঙ্গে ৪২ রান যোগ করেন। পাকিস্তানের পরের ব্যাটাররা রান পাননি। হায়দার আলী (৬), ইফতিখার আহমেদ (১৩) ও আসিফ আলী (৪) ব্যর্থ হলেও ওপেনার রিজওয়ান ৫০ বলে ৭৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে আসে সাতটি চার ও দুটি ছক্কা।
জবাব দিতে নেমে মেক শিফট ওপেনার সাব্বির রহমান ও মেহেদি মিরাজ ২৫ রান যোগ করেন। মিরাজ ফিরে যান ১১ বলে এক ছক্কায় ১০ রান করে। সাব্বির করেন ১৮ বলে ১৪ রান। দলের ৩৭ রানে আউট হন তিনি। তৃতীয় উইকেটে লিটন দাস ও আফিফ হোসেন ৫০ রানের ভালো জুটি দেন। দলকে ওই জুটি আশাও দেখাচ্ছিল।
কিন্তু ইনিংসের ১৩তম ওভারে লিটন ২৬ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩৫ রান করে আউট হন। দলের রান তখন ৮৭। পরের বলেই আউট হন মোসাদ্দেক হোসেন। চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। মাথার ওপর রান তাড়ার বোঝা নিয়ে ব্যাট তুলতেই আউট হন আফিফ হোসেন। তিনি করেন ২৩ বলে ২৫ রান। অধিনায়ক সোহান ৮ করে আউট হতেই ১০১ রানে ৬ উইকেট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
সেখান থেকে একা লড়াই করে হারের ব্যবধান কমানো ছাড়া কিছু করতে পারেননি মাহমুদুল্লাহর জায়গায় দলে আসা ইয়াসির। তিনি দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২১ বলে ৪২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। এর মধ্যে হার নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর হ্যারিস রউফের শেষ ওভারে তিনি নেন ২০ রান। বাংলাদেশের স্কোর বোর্ড ওঠে ৮ উইকেটে ১৪৬ রান।
শেয়ার করুন