গবেষকদলের মধ্যে ছিলেন- জিইবি বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক প্রধান, সহকারী অধ্যাপক হাম্মাদুল হক, সহকারী অধ্যাপক জি এম নুর নবী আজাদ জুয়েল, জিইবি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাজমুল হাসান, মো. ফাহমিদ হোসাইন ভূঁইয়া, কামরুল ইসলাম, সোনিয়া রাণী মজুমদার ও আনিকা তাসনিম চৌধুরী।
ড. শামসুল হক প্রধান বলেন, প্রতিবছর শিল্পায়ন ও নগরায়নের ফলে কৃষিভূমি কমে যাচ্ছে। বর্ধিত জনসংখ্যার খাবার উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার করে আমাদের ধান উৎপাদন বাড়াতে হবে। এজন্য আমরা গত কয়েকবছর ধরে এটা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমেরিকার একটি দাতাসংস্থা ইউনাইটেড স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারের (ইউএসডিএ) ফান্ড দিয়ে আমরা ২০১৮ সাল থেকে প্রতিকূল পরিবেশে কিভাবে ধান উৎপাদন করা যায় সেটি নিয়ে গবেষণা করি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো প্রায় প্রতিবছরই লবণাক্ত পানি দিয়ে প্লাবিত হয়। ফলে পর্যাপ্ত ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে আমাদের উদ্দেশ্য হলো লবণাক্ত অঞ্চলে পর্যাপ্ত ধান উৎপাদন করা। এজন্য আমরা গবেষণা করেছি এবং লবণসহিষ্ণু ট্রান্সজেনিক ধান উৎপাদনে সফল হয়েছি।
অধ্যাপক শামসুল বলেন, আমরা বন্যধানের জাত থেকে কিছু জিন আইসোলেশন করে নিজেদের কনস্ট্রাক্ট তৈরি করেছি। ওই কনস্ট্রাক্ট দিয়ে আমরা ট্রান্সফরমেশনের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী লবণসহিষ্ণু, জলাবদ্ধতা ও খরাসহিষ্ণু ট্রান্সজেনিক ধান তৈরি করতে পারবো এবং এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, প্রথমে আমরা ভারত থেকে ভিআরএনএইচএক্স-১ কনস্ট্রাক্ট এনে ট্রান্সফরমেশন করে ফলাফল পেয়েছি। এখন নিজেরা কনস্ট্রাক্ট তৈরি করে নিজেদের ধানে ট্রান্সফরমেশন করে যাচ্ছি। আমরা প্রায় ৩০টি ধানের জাতের ওপর গবেষণা করেছি। তবে এখন পর্যন্ত ব্রিধান-২৮ ও ব্রিধান-২৯ ধানের ওপর গবেষণা করে সফল হয়েছি।
জানা গেছে, গবেষকরা এসইউবিআইএআই, এসকে-১, এসটিএল-১ এবং ডব্লিউআরকেওয়াই-২ জিনের আইসোলেশনের মাধ্যমে কনস্ট্রাক্ট তৈরি করে লবণাক্ত অঞ্চলে ধান উৎপাদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একই কনস্ট্রাক্ট দিয়ে খরা ও জলাবদ্ধ অঞ্চলেও পর্যাপ্ত ধান উৎপাদনে কাজ করছেন তারা।