এম ইয়াকুব হাসান অন্তর
হবিগনজ জেলা প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার গাদারতলা খাল খননে ভাগ্য বদলে দিয়েছে কৃষকের। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লাখাই উপজেলার কানাই নদীর সাথে সংযুক্ত গাদারতলা খাল খননের ফলে মুড়িয়াউক ইউনিয়নবাসীর জমি চাষে ভাগ্য বদলে দিয়েছে ।
এ ব্যপারে লাখাই উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মোঃ আকতার হোসেনের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, সারাদেশেের ন্যায় “পুকুর ও খাল” খননের প্রকল্পের আওতায় লাখাই উপজেলাধীন কানাই নদীর সাথে সংযুক্ত করে গাদারতলা নামক খাল খননের কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।
এ প্রকল্পের বরাদ্দ কত টাকা ও খাল খননের দৈর্ঘ্যের পরিমাণ কত জানতে চাইলে তিনি জানান, এ প্রকল্পের মোট বরাদ্দ প্রায় ২৯ লাখ টাকা এবং খালের দৈর্ঘ্য প্রায় ২ কিলোমিটার।
ঔ খাল খননের ফলে মুড়িয়াউক ইউনিয়নবাসী কৃষকের কৃষি কাজে কি ভুমিকা রাখতে পারে জানতে চাইলে তিনি জানান, এই খাল খননে কৃষকের কৃষি জমিতে পানি সেচের জন্য অগ্রনী ভুমিকা রাখবে এবং কৃষকের জমিতে কৃষি কাজে সেচ কার্য্যে পানির অভাব দূর করবে এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না।
খাল খনন প্রকল্পের কাজ সঠিক ভাবে হয়েছে কি না জানতে চাইলে প্রকৌশলী মোঃ আকতার হোসেন বলেন, আমি নিজে নিয়মিত ভাবে কাজের তদারকি করেছি এবং বিধি মোতাবেক সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সঠিক ভাবে কাজ সম্পন্ন করেছেন।
এ ব্যাপারে এম এস ওয়ারিদ এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারি সোহেল রানার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি খাল খননের কার্যাদেশ পাওয়ার পর সরকারী বিধিমালা মোতাবেক খাল খনন করেছি এবং খাল খননের কাজে কোন প্রকার অনিয়ম করি নাই।
এ ব্যাপারে মুড়িয়াউক ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে আলাপ করলে, তারা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, গাদারতলা খাল খনন করায় সারা বছর পানি ঘাটতি পরবে না ফলে আমাদের কৃষি জমিতে কৃষি কাজে পানি সেচের মাধ্যমে জমির ফসল উৎপাদনে সহায়ক ভুমিকা রাখবে ও ফসল উৎপাদন আরো বেড়ে যাবে।
তারা আরো বলেন এ খাল খননে অতিবৃষ্টির কারনে জলাবদ্ধতা থেকেও কৃষি জমি মুক্ত থাকবে।
কৃষকগন আরো বলেন, এই গাদারতলা খাল খনন করায় আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।