লাখাইয়ে ছাদ বাগানে সফল ফরাশ উদ্দিন

হবিগঞ্জ

 

এম ইয়াকুব হাসান অন্তর
হবিগনজ জেলা প্রতিনিধিঃ
ফুল, ফল,ভেষজ ছাদ বাগানে সফলতা পেয়েছেন লাখাই উপজেলার করার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফরাশ উদ্দিন।
ডাক্তার ফরাশ উদ্দিন করাব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের দুতলা ভবনের ছাদে সখের বসে বছর পাঁচেক পূর্বে টবে ফুলের, ফলের ও ভেষজ গাছের চারা রোপন করেন।চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি সকাল বিকাল অবসর সময়ে এ ছাদ বাগানের পরিচর্যা করে আসছেন। এ সময় ছোট্ট পরিসরে বাগান সৃজন করলেও পরবর্তীতে তা অনেক সম্প্রসারণ করেন।
বর্তমানে এ ছাদ বাগানে ৩ শত টবে শোভা পাচ্ছে নানা প্রজাতির ফুল,ভেষজ ও ফলের চারার বিশাল সমাহার।
মনোমুগ্ধকর এ ছাদ বাগানে গিয়ে দেখা যায় ১৫-২০ প্রজাতির ফুল এর গাছ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চন্দ্রমল্লিকা,নাইটকুইন,পয়েন্ট সেপ্রিয়া,গোলাপ,জবা,বাগান বিলাস,রন্গুন রয়েছে।
ফলের মধ্যে রয়েছে চায়নাকমলা,মাল্টা,লিচু,সফেদা,পেয়ারা, বড়ুই,ডালিমসহ বিভবিভিন্ন ধরনের ফলের সমারোহ।
ভেষজ এর মধ্যে এলেভেড়া,পুদিনা,পাথরকুচি, থানকুনি সহ ঔষধী গুন সম্পন্ন চারা।
এছাড়া রয়েছে নানা ধরনের মৌসুমি শাকসবজি যেমন করল্লা, টমেটো, ডাঁটা,পুঁইশাক,লাউশাক, ধনেপাতা, মরিচ,পেয়াজ সহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি।
আরোও রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ক্যাকটাস,ঝাউগাছ, খ্রীসমাসট্রি,পাতাবাহার সহ নাম না জানা সৌন্দর্য বর্ধক গাছ।
এ বিষয়ে ছাদ বাগানের পরিচর্যারত ডাঃ ফরাশ উদ্দিন এর সাথে আলাপকালে জানান আমি আমার বাসভবনে ছাদে শুরুতে শখের বশে কয়েকটি টবে ফুল ও ফলের চারা রোপন করি।অবসরকালীন সময়ে এ ছাদবাগানে কাজ করে আনন্দ পেতাম।পরবর্তীতে এ যেন আমাক নেশায় পেয়ে বসে।যখন যেখানে ফুল,ফল ও অন্যান্য চারা নজরে পরতো তা নিয়ে বাগানের সংগ্রহ বাড়াতে থাকি।এটি এখন একটি পরিপূর্ণ বাগানে রুপ নিয়েছে।
এ ছাদ বাগানের সৌন্দর্য মনের খোরাক জোগায় এবং এর ফল ও শাকসবজি পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে থাকে।অনেক প্রয়োজনীয় ভেষজ গুণ সম্পন্ন গাছ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার এলাকার লোকজন নিয়ে যায়।
আমি এ ছাদ বাগান করে সফলতা পেয়েছি। আমি সবার নিকট আবেদন জানাচ্ছি সবাই যেন এ ছাদ বাগান সৃজনে এগিয়ে আসে।
তিনি আরো জানান আমি এ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চাকুরির সুবাদে এখানে বসবাস করা অবস্থায় এর ছাদে ও এর প্রাঙ্গণে নানা প্রজাতির ফুলের সমাবেশ ঘটিয়ে আসছি।আমি প্রত্যাশা করি আমি একসময় চলে গেলেও যেন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ অব্যাহত থাকে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *