লাখাইয়ে বিদ্যুতপৃষ্ঠ হয়ে মারা যাওয়া সন্জয় দাসের পরিবারের মানবেতর জীবন- যাপন,জুটেনি কোন আর্থিক সহযোগীতা

হবিগঞ্জ

এম ইয়াকুব হাসান অন্তর
হবিগন্জ প্রতিনিধিঃ

।লাখাইয়ের পূর্ববুল্লা গ্রামের কাঠমিস্ত্রি সন্জয় দাস বিগত ১৫ আগষ্ঠ হাওরে বিদ্যুতের ঝুলে থাকা তারে বিদ্যুতপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সন্জয় দাসের অকাল মৃত্যুতে তাঁর ৮ সদস্যের পরিবারে নেমে আসে অমানিশার ঘোর অন্ধকার।বিগত ১৫ দিন যাবৎ তারা অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে।স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে ও প্রয়াত সন্জয় দাসের স্ত্রী অসীমা রানী দাসের সাথে আলাপকালে জানা যায় উপজেলার পূর্ববুল্লা গ্রামের সন্জয় দাস ছিলেন পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। তাঁর ছিল ৯ সদস্যের পরিবার।স্ত্রী অসীমা রানী দাস(৩৪), সৎমা আরতী রানী দাস(৭০), ৫ কন্যা সন্তান সম্পারানী দাস(১২), মুক্তা রানী দাস(১০), চন্দনা রানী দাস(৭), বন্যা রানী দাস(৫), তিন্নী রানী দাস((০১) এবং একমাত্র পুত্র সৃজন চন্দ্র দাস(৩)। সন্জয় দাস যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন তার আয়ে কোন রকমে সংসার চলছিল। সন্জয় দাস এর বাবার ভিটায় জরাজীর্ণ একটি ঘরে এ ৯ সদস্যের বসবাস ছিল।বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি পড়তো।তাই বৃষ্টির মধ্যে ঘরেই ছাতা মাথায় থাকতে হতো।আশা ছিল আয়- রোজগার বাড়লে ঘরটি পূনঃ মেরামত করবেন। কিন্তু বিধিবাম বিগত ১৫ আগষ্ঠ /২২ নৌকাযোগে হাওরে বানিয়াচং যাওয়ায় পথে বিদ্যুতপৃষ্ট হয়ে মারা যায় সন্জয় দাস।সন্জয় দাসের অকাল মৃত্যুতে তাঁর ৮ সদস্যের পরিবার পড়ে অথৈজলে।স্বামীর কোন সঞ্চয় এবং জমি জমিজমা না থাকায় বর্তমানে এ পরিবারটি নিদারুণ ও অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্ঠে দিনাতিপাত করছে।সন্জয় এর স্ত্রী অসীমা রানী জানান বিগত ১৫ দিন যাবৎ আমার শশুর ও অন্যান্য প্রতিবেশীদের সাহায্য সহযোগীতা ও ধার- দেনা করে ছোট- ছোট ছেলে- মেয়েদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছি।আর কতদিন এভাবে চলতে পারবো জানিনা।অবস্থা এমন হয়েছে যে কেউ সাহায্য করলে খাবার জুটবে আর না করলে উপোষ। ইতিমধ্যে ৬ নম্বর বুল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট খোকন চন্দ্র গোপের নিকট সাহায্যের জন্য গিয়েছিলাম তিনি আশ্বাস দিয়েছন বরাদ্দ আসলে সাহায্য দিবেন।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শরীফ উদ্দীন এর সাথে আলাপকালে সহযোগীতার আশ্বাস দেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *