এম ইয়াকুব হাসান অন্তর।
হবিগনজ প্রতিনিধিঃ
লাখাইয়ে আগাম জাতের রোপা আমন ধানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখীর উৎপাত।ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী রোপা আমনের ক্ষেতের ধান খেয়ে সাবার করে দিচ্ছে।বন্যার পানি সরে যাওয়ার পর যে জমিতে আগাম জাতের ধান যেমন সুগন্ধি জাত ও ২৮- জাতের ধান চাষ করা হয়েছিল সে সকল জমিতে ধান পাকতে শুরু করেছে।এ সকল জমির পাঁকা ও আধাপাঁকা ধান ঝাঁকে ঝাঁকে চড়ুই,বাবুই সহ বিভিন্ন ধরনের পাখি তা খেয়ে সাবার করে দিচ্ছে।এদিকে কৃষকের স্বপ্নের এ সোনালী ফসল পাখীর হাত থেকে রক্ষায় প্রাণান্তকর চেষ্টা চালাচ্ছে।কোন কোন কৃষক জমিতে জাল দিয়ে ঘেরাও করে, কেউবা টিনের সাহায়্যে উচ্চ শব্দ সৃষ্টি করে আবার কেউবা জমিতে রীতিমতো পাহারা বসিয়ে পাখী থেকে ফসল বাঁচাতে ব্যস্ত। উপজেলার মোড়াকড়ি ইউনিয়নের মোড়াকড়ি গ্রামের পশ্চিমমাঠে প্রায় শতাধিক বিঘা জমিতে চলতি বছর আগাম জাতের ২৮- জাতের ধান চাষ হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষকদের সূত্রে জানা যায়।সরজমিন পরিদর্শনে ও ভুক্তভোগী কৃষকদের সাথে আলাপকালে জানান আমাদের এ মাঠের ধান আগাম রোপন করায় জমির ধান পাঁকতে শুরু করেছে।এরই মধ্যে বিগত এক সপ্তাহ যাবৎ ভোরবেলা থেকে দুপুর ১০/১১ এবং বিকেল ৩/৪ টা থেকে সন্ধে অবধি ঝাঁকে ঝাঁকে চড়ুই ও বাবুই পাখী এসে জমির ধান সাবার করে দিচ্ছে।আমরা ভোরবেলা থেকে সন্ধে পর্যন্ত পাখি তাড়াতে ব্যস্ত রয়েছি।ধান কাটার উপযোগী হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকবে।পরিদর্শনকালে দেখা যায় কৃষকরা জমিতে পাখীর আক্রমন থেকে রক্ষায় টিনের মাধ্যমে বাজনা বাজিয়ে,জাল দিয়ে বেড়া দিয়ে পাখি তাড়াচ্ছে।এ ব্যাপারে মোড়াকড়ি গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক শাহাবুদ্দিন,আরব আলী,এনু মিয়া,হাজী গোলাপ মিয়া জানান আমাদের এ মাঠে শতাধিক বিঘা জমির ধান পাঁকতে শুরু করেছে কিন্তু হঠাৎ এ পাখীর আক্রমনে আমরা ফসল বাঁচাতে ব্যতিব্যস্ত।সারাক্ষণ পাহারা দিয়েও শেষ রক্ষা হবে কিনা জানিনা।এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাকিল খন্দকার জানান পাখীর খাদ্য সংকটের কালে আগাম জাতের ও সুগন্ধি জাতের ধানে পাখীর আক্রমন হয়ে থাকে।এথেকে উত্তোরনে জমি নেট জাল দিয়ে মুড়িয়ে দিলে পাখীর উৎপাত থেকে ফসল রক্ষা করা যাবে।
শেয়ার করুন