লাখাইয়ে সরিষা কাটায় কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার এর ব্যাবহারে কৃষকদের স্বস্তি। শ্রমিক সংকট লাঘব

হবিগঞ্জ

এম ইয়াকুব হাসান অন্তর
হবিগনজ প্রতিনিধিঃ

লাখাইয়ে তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি
পাচ্ছে। তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন আগ্রহ বাড়ছে। তারা এখন নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে উদ্বৃত্তের মাধ্যমে নগদ অর্থ পাওয়ায় খবই আনন্দিত। সরিষা আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ফসল কাটায় শ্রমিক সংকট দেখা দেয়।এ আবস্থাতে কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠছে ধান কাটায় ব্যবহৃত কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার।এ হার্ভেস্টার এর সাহায্যে অল্প সময়ের সরিষা কাটা ও মাড়াই হওয়ায় কূষককূল স্বস্তিতে।একদিকে তাদের শ্রমিক সংকট লাঘব হচ্ছে অন্য দিকে সময় ও অতিরিক্ত পরিশ্রম দিতে হচ্ছে না।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় চলতিবৎসর লাখাইয়ে তেলজাতীয় ফসল সরিষার আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৪ শত হেক্টর জমিতে। ফলনও হয়েছে ভাল।এদিকে সরিষা কাটা,মাড়াই ও শুকানোসহ বিভিন্ন ধরনের কাজে কিষান – কিষাণীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ ক্ষেত্রে সরিষা কাটায় যান্ত্রিক ব্যবহার নব দিগন্তের দিক উন্মোচিত হলো।এতদিন কৃষকেরা ভাবতেই পারেনি সরিষা যন্ত্রের সাহায্যে কাটা সম্ভব।লাখাইয়ে মুড়িয়াউক, সাতাউক, সিংহগ্রাম সহ বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায় বিস্তীর্ণ সরিষার জমিতে কেউবা শ্রমিক দিয়ে আবার কেউবা যন্ত্রের সাহায্যে সরিষা কাটছে।এ বিষয়ে সাতাউক গ্রামের চাষী নজরুল ইসলাম, সিংহগ্রামের আব্দুল কুদ্দুস, শহীদুল হক সহ কৃষকদের সাথে আলাপকালে জানান আমরা এখন তেলজাতিয় ফসল উৎপাদন করায় আমাদের নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে উদ্বৃত্তের মাধ্যমে নগদ অর্থ পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। বিগত দিনগুলোতে আমরা তেলজাতিয় ফসল উৎপাদনে অনিহা বোধ করলেও বর্তমানে তেলজাতিয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং প্রনোদনা দেওয়ায় এ ধরনের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে । আমরাও লাভবান হচ্ছি।তারা আরও জানান সরিষা আবাদ সহজতর হলেও তা কাটা, মাড়াই বিভিন্ন ধরনের কাজে কিষান – কৃষাণীদের গলদঘর্ম হতে হতো।আর শ্রমিক সংকট তো রয়েছেই। কিন্ত এ বছরই প্রথমবারের মতো কম্বাইন্ড হার্ভেস্টারের সাহায্যে কাটা সম্ভব হওয়ায় আমরা বেশ স্বস্তিতে।এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর কর্মকর্তা শাকিল খন্দকার জানান লাখাইয়ে সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বহুলাংশে বেড়ে চলছে। সেই সাথে তেলজাতিয় ফসল উৎপাদন করায় কৃষকেরা অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হচ্ছে।আর এ ক্ষেত্রে যান্ত্রিক ব্যবহার নব দিগন্তের দিক উন্মোচিত হলো। কৃষকদের শ্রমিক সংকট লাঘব হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ, বিনামূল্যে বীজ, সার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *