চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও বিঘ্ন ঘটিয়েছে বৃষ্টি। না হলে টি-২০’র দলীয় সর্বোচ্চ ২১৫ রান ছাড়িয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। তারপরও ১৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ঝড় তুলে চতুর্থ সর্বোচ্চ ২০২ রান করে টাইগাররা। এরপর আইরিশদের বিধ্বস্ত করে তুলে নিয়েছে টি-২০তে নিজেদের দ্বিতীয় সেরা ৭৭ রানের জয়।
বুধবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তাণ্ডব শুরু করেন লিটন দাস, রনি তালুকদার ও সাকিব আল হাসান। ওপেনিং জুটিতে লিটন ও রনি ৯.২ ওভারে দলকে ১২৪ রানের জুটি দেন। নিজেদের দ্রুততম শতরানের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে শতক ও যেকোন উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন তারা।
ওই জুটি ভাঙে রনি তালুকদার সীমানার কাছে ২৩ বলে ৪৪ রান করে ক্যাচ দিলে। তার ব্যাট থেকে তিনটি চার ও দুটি ছক্কা আসে। অন্য প্রান্তে থাকা লিটন দাস ছিলেন আরও বিধ্বংসী। তিনি সাজঘরে ফেরার আগে ৪১ বলে খেলেন ৮৩ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। ১০টি চার ও তিনটি ছক্কা দেখা যায় ডানহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে।
দুর্দান্ত ওই ইনিংস খেলার পথে ১৮ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন লিটন। দেশের হয়ে মোহাম্মদ আশরাফুলের ২০ বলে ফিফটির রেকর্ড ভেঙে দেন। এরপর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান হাত খুলে খেলে ২৪ বলে ৩৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। দুটি ছক্কা ও তিনটি চার হাঁকান। তাওহীদ হৃদয় তিন চার ও এক ছক্কায় ১৩ বলে করেন ২৪ রান।
জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারে ধাক্কা দেন তাসকিন। পরের পাঁচ উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান। ষষ্ঠ ওভারে ৪৩ রানে ৬ উইকট হারায় আইরিশরা। ওই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি সফরকারীরা। সাকিবের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা বোলিংয়ে পর আরও দুই উইকেট নেন তাসকিন। আইরিশরা ৯ উইকেটে ১২৫ রানে আটকে যায় তারা।
টি-২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে। ২০২১ সালের বিশ্বকাপে তাদের ৮৪ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বেলফাস্টে ২০১২ সালে ৭১ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। যেটা ছিল দ্বিতীয় সেরা জয়। ওই রেকর্ড ভেঙে রানের হিসেবে টি-২০ ক্রিকেটে নিজেদের দ্বিতীয় সেরা জয় পেলো বাংলাদেশ।
শেয়ার করুন