আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশপ্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সিলেটে বিশাল শোভাযাত্রাঅনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা্ স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণসম্পাদক এমদাদ রহমানের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় আওয়ামীলীগ ও অংগ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরাঅংশ নেন।
শনিবার (১৮ মে) বেলা ২টার দিকে নগরীর ঐতিহাসিকরেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়কপ্রদক্ষিণ শেষে চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে সমবেত হয়।
এ উপলক্ষে সকাল থেকে ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠ প্রাঙ্গনেখন্ড খন্ড মিছিল আসতে থাকে। সময় যত গড়িয়েছে মিছিলেমিছিলে পরিপূর্ণ হতে থাকে রেজিস্ট্রারি মাঠ প্রাঙ্গন। নগরীরবিভিন্ন এলাকা ছাড়াও সব ক’টি উপজেলা থেকে মিছিল এসেজড়ো হতে থাকে রেজিস্ট্রারি মাঠে। শোভাযাত্রায় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতিলীগসহ বিভিন্ন অংগসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই স্মার্টবাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হয়েছে’
শোভাযাত্রার সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট সিটিকরপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই আজস্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হয়েছে। ১৯৭৫ সালে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করাহয়। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কনিষ্ট কন্যা শেখ রেহানাবিদেশে ছিলেন বলেই প্রাণে বেঁচে যান। নয়তো আজবাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হতো। দেশে যখন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ঘাঁটি শক্ত করে বসে, দেশে পাকিস্তানি শাসনকায়েম হওয়ার ষড়যন্ত্র চলছিল, তখন্ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখহাসিনা শক্তহাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন। তার নেতৃত্বেদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়ক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশেরূপান্তরিত হয়েছে।
এসময় তিনি দলের ভেতরে ও বাইরে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদেরউদ্দেশ্যে বলেন, নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে নিজেদের নবাবভাববেন না। কার দৌড় কতটুকু জানা আছে। আমরা এসববিষয় নিয়ে বলতে চাই না। কে কি বললো, তা দেখার বাশোনার সময় নেই।সবাই ঠান্ডা মাথায় মানুষের কল্যাণে কাজকরবেন। আপনারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, শেষ হাসিনারএকনিষ্ট কর্মী।তাই সকলে মানবতার কল্যাণে কাজ করবেন।আপনারা সকলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যদোয়া করবেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মাথা উঁচুকরে দাঁড়িয়েছে।
শেয়ার করুন