নাহিম মিয়া, নিজস্ব প্রতিনিধি:
শেরপুরের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
সমাজের প্রতি তাঁদের দায়বদ্ধতা ও মানবিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন সময় তারা ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম করেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় শেরপুরের বন্যার্তদের পাশে দাড়ানোর জন্য
গত দুদিনে তাঁরা ১৫,৯৮৪ টাকা সংগ্রহ করেছেন।
শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ কেবলমাত্র অর্থনৈতিক সহায়তা নয়, বরং মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। বিপর্যস্ত মানুষের সহায়তায় তাঁদের ত্যাগ ও প্রতিশ্রুতি অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করছে। শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানির বোতল, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দ্রুত বন্যাদুর্গত মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করেন, তাঁদের এই ক্ষুদ্র সহায়তা হয়তো সব সমস্যার সমাধান নয়, কিন্তু এই অসহায় মানুষদের জীবনযুদ্ধে কিছুটা হলেও শান্তি ফিরিয়ে আনবে।
এই উদ্যোগের অন্যতম উদ্যোক্তা মেকানিক্যাল টেকনোলজি’র ৬ষ্ঠ পর্বের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহিম বলেন, “আমাদের নিজেদের মধ্যে মানবতার বোধ থেকেই এই উদ্যোগ। আমরা শিক্ষার্থীরা চাইলেই সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে পারি। শেরপুরের মানুষের এই ভয়াবহ অবস্থার কথা শুনে আমরা বসে থাকতে পারিনি। খুব অল্প সময়ে আমাদের যা সামর্থ্য, তাই নিয়েই আমরা নেমেছি, এবং সবার সহযোগিতা পেলে আরও অনেক বড় আকারে সহায়তা পৌঁছানোর আশা রাখি। আমরা প্রত্যাশা করি, আমাদের উদ্যোগ দেখে আরও অনেকে এগিয়ে আসবে।”
মেকানিক্যাল টেকনোলজির ৬ষ্ঠ পর্বের আরেক শিক্ষার্থী ও ত্রাণ কার্যক্রমের উদ্যোক্তা লিমন আহমেদ বলেন, “মানুষের সেবা করাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম, আর এই ধর্ম পালন করতে পারা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আমরা চাই, সবাই যেন এই মহৎ কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করেন এবং শেরপুরের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আমাদের এই প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করেন।”
সিলেট পলিটেকনিকের সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই অসাধারণ উদ্যোগ একদিকে যেমন মানবতার প্রতি তাঁদের দায়িত্ববোধ প্রকাশ করে, অন্যদিকে তেমনি প্রমাণ করে যে, সমাজের যেকোনো অংশ থেকেই পরিবর্তন শুরু করা সম্ভব। বন্যার্তদের সহায়তায় তাঁরা এভাবেই তাঁদের ভূমিকা পালন করছেন, যা নিঃসন্দেহে দেশের মানুষকে একসূত্রে গাঁথতে সহায়ক হবে।
শেয়ার করুন