ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহরের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

সিলেট

গত ১লা মে’২৪ সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে মালিকগোষ্ঠী কর্তৃক সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে জেলা প্রশাসক মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটি। ২১ মে দুপুর ১২ টায় সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ছাদেক মিয়া ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত স্বারকলিপি প্রদান করে সংগঠনের প্রতিনিধি দল।
স্বারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করে বলেন, ১৯৯৩ সাল থেকে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ১৯৩৩ শ্রমিকদের আইনগত অধিকার  প্রতিষ্ঠায় দেশের প্রচলিত আইন মোতাবেক নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি মালিকদের সাথে দরকষাকষি করে আসছে। ধারাবাহিক শ্রমিকদের ঐক্যবব্ধ আন্দোলন-সংগ্রামের কারণে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং চট্টঃ ১৯৩৩)-এর নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কতিপয় মালিক ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত লিপ্ত হয়। সারাদেশের শ্রমিকদের ঐক্য ও সংহতির সাথে একাতœ হতে ১ মে ছুটির জন্য বিগত বছরের ন্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে এবারও মালিকদের চিঠি দেওয়া হয়। এপ্রেক্ষিতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন। কিন্তু অতিনগন্য সংখ্যক মালিক তাদের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত বাস্তবায়নের মানসে এবছর মে দিবসে শ্রমিকদের জোরপূর্বক কাজ করিয়ে প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে উস্কানিমূলক পরিবেশ তৈরি করেন। ১মে সকাল ১০টায় সুরমা পয়েন্টে জমায়েত হয়ে সমাবেশ ও পরবর্তীতে র‌্যালি করে জাতীয় ফেডারেশন বাজাফে-০৫ এর বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সিলেটের ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টের সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের ভাষ্য অনুযায়ি যে সময় হোটেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে তখন অর্থাৎ সকাল ১০টা হতে দুপুর ১.২০ মিনিট পর্যন্ত সমাবেশ ও পরবর্তীতে র‌্যালি আম্বরখানা গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। মিছিল পরবর্তী দুপুর ২টায় সংগঠনের কর্মসূচী সমাপ্ত হয়। কিন্তু উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫-২০ জনের নাম অজ্ঞাত রেখে জনৈক হোটেল মালিক আব্দুল মালিক মামলা দায়ের করেন। মামলার এজহারভুক্ত সকলেই কোর্ট পয়েন্টের শ্রমিক সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন সময় মালিকদের কাছ থেকে আইনি পাওনা ও ত্রিপক্ষিয় বৈঠকের মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের পাওনা আদায়ে ভূমিকা রাখে সংগঠন। মালিক সমিতির সভাপতিসহ সমিতির সাথে সংশ্লিষ্ট অনেক মালিক/প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের আইনি পাওনা পরিশোধ করে। যার কারণে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ মালিকদের রোষানলে পড়েন।

কতিপয় আব্দুল মালিক ও বাংলাদেশ রেস্তোঁরা মালিক সমিতি সিলেট জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল মিয়ার নেতৃত্বে শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখানো, মারধর, পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার মতো হীণ-কর্মকান্ডের কারণে সাধারণ শ্রমিকরা ভয়ে ভয়ে দিনানিপাত করছে। নেতৃবৃন্দ উক্ত মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির প্রেক্ষিতে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ভূমিকা কামনা করেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *