শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. এএফএম মুশিউর রহমান।
বুয়েট শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনের ডোপ টেস্ট করানো হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের ডোপ টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. এএফএম মুশিউর রহমান।
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার তিন আসামিকে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে ডোপ টেস্ট করানো হয়। এদের মধ্যে মুবিন আল মামুন এবং মিরাজুল করিমের ডোপ
এর আগে শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাফিয়া শারমিনের আদালত তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কে সাবেক সেনা কর্মকর্তার নামে নিবন্ধিত ব্যক্তিগত গাড়ির ধাক্কায় চেকপোস্টে দাঁড়িয়ে থাকা বুয়েট শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদের মৃত্যু হয়।
এ দুর্ঘটনায় তার দুই সহপাঠী আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম জানান, নিহতের বাবা সড়ক পরিবহন আইনে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। ‘দুর্ঘটনাস্থল থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। এটির ভেতর থেকে বিয়ার এবং মদের বোতল পাওয়া গেছে।’
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের নামে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন তার ছেলে মুবিন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে মুহতাসিম তার দুই বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে ৩০০ ফিট সড়কে যান। নীলা মার্কেটে রাতের খাবার শেষে বাসায় ফেরার পথে পুলিশ চেকপোস্টে তাদের থামানো হয়। রাত তিনটার দিকে চেকপোস্টে দাঁড়ানো অবস্থায় বেপরোয়া গতির একটি প্রাইভেট কার তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে মুহতাসিম ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ঘটনায় আহত মেহেদী হাসান স্কয়ার হাসপাতালে এবং অমিত সাহা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার বিকেলে তিন আসামীকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মুবিনের পরিবারের সদস্য এবং নিহত মুহতাসিমের বন্ধুরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।’
শেয়ার করুন