খেলা ডেস্কঃ ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিব আল হাসানের মুখ দেখে বোঝা গেল না, মাঠে কিছুক্ষণ আগে তাঁর ওপর দিয়ে কী মানসিক ঝড়টাই না গেছে! জিততে জিততে হেরে গেলে মনের ওপর দিয়ে এমন কিছু বয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক কথা বললেন শক্ত চোয়ালে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে হারের কারণ হিসেবে জানালেন, ডেথ ওভারে বাজে বোলিং।
আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৮৩ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যাটিংবান্ধব উইকেটেও ২০ ওভারে এই রান তাড়া করে জেতা কঠিন। শ্রীলঙ্কার জন্যও কাজটা সহজ হয়নি। শেষ ৫ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪৭ রান, হাতে ৫ উইকেট। তাসকিন আহমেদ ১৬তম ওভারে ৪ রানে ১ উইকেট নেওয়ায় লক্ষ্যটা আরও কঠিন হয়ে উঠেছিলো ২৪ বলে ৪৩।
মোস্তাফিজুর রহমান পরের ওভারে ৯ রানে ১ উইকেট নেওয়ায় চাপটা ধরে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু গড়বড় হয় শেষ দুই ওভারে। শুরুতে দারুণ বল করা ইবাদত হোসেন ১৯তম ওভারে ১ উইকেট নিলেও দিয়েছেন ১৭ রান। এরপর ম্যাচের পাল্লা ঝুলে যায় শ্রীলঙ্কার দিকে। শেষ ওভারে ৮ রানের লক্ষ্যে মেহেদী হাসানের প্রথম তিনটি ডেলিভারির মধ্যেই জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।
টানা দুই হারে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আজ হারের কারণ হিসেবে সাকিব বলেছেন, ‘ডেথ (ওভারের) বোলিংয়ে আমরা উন্নতির চেষ্টা করছি। কিন্তু আমরা সেটা এখনো পারিনি। এ জন্যই ম্যাচটা হেরেছি। শেষ দুই ওভারে ওদের ১৭-১৮ রান (২৫ রান) দরকার ছিল, ৮ উইকেট (৭ উইকেট) পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারা জিতেছে ৫ বল (৪ বল) হাতে রেখে। এটাই প্রমাণ করে আমরা ডেথ ওভারে ভালো বোলিং করতে পারিনি। শুরুতে ও মাঝের ওভারগুলোয় আমরা ভালো করেছি।’
ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিব আল হাসানের মুখ দেখে বোঝা গেল না, মাঠে কিছুক্ষণ আগে তাঁর ওপর দিয়ে কী মানসিক ঝড়টাই না গেছে! জিততে জিততে হেরে গেলে মনের ওপর দিয়ে এমন কিছু বয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক কথা বললেন শক্ত চোয়ালে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে হারের কারণ হিসেবে জানালেন, ডেথ ওভারে বাজে বোলিং।
আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৮৩ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যাটিংবান্ধব উইকেটেও ২০ ওভারে এই রান তাড়া করে জেতা কঠিন। শ্রীলঙ্কার জন্যও কাজটা সহজ হয়নি। শেষ ৫ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪৭ রান, হাতে ৫ উইকেট। তাসকিন আহমেদ ১৬তম ওভারে ৪ রানে ১ উইকেট নেওয়ায় লক্ষ্যটা আরও কঠিন হয়ে উঠেছিল—২৪ বলে ৪৩।
মোস্তাফিজুর রহমান পরের ওভারে ৯ রানে ১ উইকেট নেওয়ায় চাপটা ধরে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু গড়বড় হয় শেষ দুই ওভারে। শুরুতে দারুণ বল করা ইবাদত হোসেন ১৯তম ওভারে ১ উইকেট নিলেও দিয়েছেন ১৭ রান। এরপর ম্যাচের পাল্লা ঝুলে যায় শ্রীলঙ্কার দিকে। শেষ ওভারে ৮ রানের লক্ষ্যে মেহেদী হাসানের প্রথম তিনটি ডেলিভারির মধ্যেই জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।
টানা দুই হারে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আজ হারের কারণ হিসেবে সাকিব বলেছেন, ‘ডেথ (ওভারের) বোলিংয়ে আমরা উন্নতির চেষ্টা করছি। কিন্তু আমরা সেটা এখনো পারিনি। এ জন্যই ম্যাচটা হেরেছি। শেষ দুই ওভারে ওদের ১৭-১৮ রান (২৫ রান) দরকার ছিল, ৮ উইকেট (৭ উইকেট) পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারা জিতেছে ৫ বল (৪ বল) হাতে রেখে। এটাই প্রমাণ করে আমরা ডেথ ওভারে ভালো বোলিং করতে পারিনি। শুরুতে ও মাঝের ওভারগুলোয় আমরা ভালো করেছি।’
প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। সে ম্যাচে বাজে ব্যাটিং করলেও শারজায় প্রবাসী বাংলাদেশি সমর্থকদের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছে বাংলাদেশ দল। আজ দুবাইয়েও গ্যালারি মাতিয়ে রেখেছিলেন বাংলাদেশের সমর্থকেরা। কিন্তু এশিয়া কাপ থেকে বাংলাদেশ বিদায় নেওয়ায় সমর্থকদের প্রত্যাশা অবশ্যই মেটেনি। সে জন্য খারাপ লাগার কথা জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘যেখানেই যাই না কেন, আমরা এমন সমর্থনই পাই। সমর্থকদের জন্য আমাদের খারাপ লাগে। আমাদের উত্থান-পতনের মাঝেও তারা আমাদের সমর্থন দিয়ে যায়। আশা করি তারা আমাদের এভাবে সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখবেন এবং আমরা যেন এই সমর্থনের প্রাপ্যটা ফিরিয়ে দিতে পারি।’
শেষ ওভারে স্পিনারকে দিয়ে বল করানোর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সাকিব। ডেথ ওভারে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের ৪ ওভারের কোটা আগেই শেষ করেন সাকিব। স্পিনার মেহেদী হাসানকে দিয়ে শেষ ওভারে বোলিং করান। দ্রুত উইকেট নিতেই মোস্তাফিজের কোটা শেষ করেছেন বলে জানান সাকিব।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে সাকিব বললেন, ‘গত ছয় মাসে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক খেলতে পারিনি। (এশিয়া কাপে) আমরা দুই ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক খেলেছি, যেখান থেকে আত্মবিশ্বাস পাবে দল। তবে অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জটা অন্যরকম হবে। আমরা সেখানে ভালো করতে চাইলে বেশ কিছু জায়গায় কাজ করতে হবে।’
শেয়ার করুন