সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ: রিমান্ডে সাবেক কাউন্সিলরসহ বিএনপির ৫ নেতা

জাতীয় রাজনীতি

রাজধানীর মহাখালী এলাকায় শুক্রবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপির ৩২ নেতাকর্মীকে। তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে নাশকতার অভিযোগে করা পুরোনো মামলায়।

শনিবার তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তাদের মধ্যে সাবেক কাউন্সিলরসহ পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বাকি ২৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার নেতাকর্মীরা সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার উদ্দেশ্যে বৈঠক করছিলেন।

কাফরুল থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ২৩ অক্টোবর বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা সেই মামলার পলাতক আসামি। তারা গোপনে বৈঠক করে নাশকতার পরিকল্পনা করছেন- এমন খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করে ১৭ জনকে ১০ দিনের রিমান্ডে এবং ১৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন জানায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ জনের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তারা হলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বনানী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, একই ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, সাবেক সহসভাপতি হাবিবুর রহমান শেখ বাবুল, ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক চাঁন মিয়া সরদার ও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান আকতার।

গ্রেপ্তার অপর নেতাকর্মীরা হলেন- বনানী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর আহবায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান বাচ্চু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বশির আহমেদ, মহানগর উত্তর ২০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নোমান, সিনিয়র সহসভাপতি শরিফুল ইসলাম, সহসভাপতি আলমগীর হোসেন, সৈয়দ হেমায়েত উদ্দিন, গুলশান থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি শরিফ উদ্দিন আহমেদ মামুন, মহানগর উত্তর যুবদল কর্মী মো. সজিব, মহানগর উত্তর যুবদল নেতা মোহাম্মদ রিমন মিয়া, পুনর্বাসন সম্পাদক মো. সবুজ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সজল হোসেন, বিএনপি কর্মী নূর মোহাম্মদ, রায়হান কবীর, আক্কাস আলী, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ ফোরকান সরকার, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী, রুহুল আমিন, ফরহাদ আহমদ, মোহাম্মদ মোশাররফ, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মো. ফারুক, মো. বিপ্লব, মোহাম্মদ ইসরাফিল ও ফারুক।

পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারকৃতরা আগের মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। এরমধ্যেই তারা গোপন বৈঠক করে নতুন কোনো পরিকল্পনা করছিলেন। তবে গ্রেপ্তারের পর তারা এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। তারা সাংগঠনিক আলোচনা করছিলেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের পরিকল্পনার ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গুলশান-বনানী এলাকার নেতাকর্মীরা ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের প্রস্তুতির বিষয়ে সাংগঠনিক আলোচনার জন্য বসেছিলেন। সেখানে পুলিশ অভিযান চালায়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *