আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ ও তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং নিবর্তনমুলক সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ সকল কালাকানুন বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল -বাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।আজ ১৭সেপ্টেম্বর ২০২৩ রবিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় আম্বরখানাস্হ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বাসদ সিলেট জেলা আহ্বায়ক আবু জাফর এর সভাপতিত্বে ও জেলা সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পাল এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বেলাল হোসেন, ইয়াছিন আহমদ,মিন্টু যাদব, নুরুল ইসলাম বিলাল আহমদ, ফখরুল ইসলাম, মোহসীন আহমদ, সেলিম আহমেদ রমজান আলী প্রমূখ।
সমাবেে নেতৃবৃন্দ বলেন, অতীতের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মত সাইবার নিরাপত্তা আইনটিও সমালোচনা, ভিন্নমত ও মুক্তচিন্তা দমনের ক্ষেত্রে সরকারের হাতে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আইনের ৪২ ধারায় পুলিসকে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতার, ২৭ ও ৩২ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১ কোটি টাকা জরিমানা এবং ১৪ বছর কারাদন্ডের বিধান, ২৮ ধারায় (ঘৃণ্য বøাসফেমি আইনের নবসংস্করণ) ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের শাস্তির নামে ২ বছরের জেল ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান বাস্তবে সাংবাদিক ও সচেতন মানুষদের হয়রানির কাজে ব্যবহৃত হবে। ফলে সাইবার নিরাপত্তা নয়, ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা নিরুপ্রদ
করাই এ আইন পাশ করার অন্যতম উদ্দেশ্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতই অপরাধ চিহ্নিত করা ও হয়রানি করার সকল বিধান সন্নিবেশিত আছে এই আইনে। আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ সালের নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে বিএনপি-জামাত জোট সরকার প্রণীত আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা ব্যবহার করেছিল, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রণয়ন করেছিল আর আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে জনমত উপেক্ষা করে একই রকম নিবর্তনমূলক সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট পাশ করা হলো।
মানববন্ধন সমাবেশে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ করে তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ সকল নিবর্তনমূলক কালা-কানুন বাতিলের দাবিতে গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকল প্রগতিশীল গণতন্ত্রমনা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।