অবৈধ সম্পদ, অর্থ পাচারসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে তার দুই ভাই হারিস আহমেদ এবং তোফায়েল আহমেদ জোসেফের বিরুদ্ধেও চলবে অনুসন্ধান। বুধবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।
২০২১ সালে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আজিজ আহমেদ ও তার ভাইদের দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে প্রামাণ্য অনুষ্ঠান প্রচার হয়। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে দেশে-বিদেশে। এরপর আজিজ আহমেদের উপর আসে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা।
এ বছরের শুরুতে দুদকে অভিযোগ আসলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঘুষ, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে জেনারেল আজিজ ও তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, ‘বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট ক্রয় এবং তার ভাইদের নামেও ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ও কয়েকশ বিঘা সম্পত্তি ক্রয় সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও দেশে বিদেশেও তার বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।’
অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের গোয়েন্দা ইউনিটের মাধ্যমে প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করা হয়েছে। এতে প্রাথমিক কিছু সত্যতা পাওয়া গেছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে দুটো বিষয়ই প্রকাশ্যে অনুসন্ধান করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক আমাদের একটি সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য নিজামুদ্দিন হাজারী বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি।
শেয়ার করুন