সারাদেশের ন্যায় লাখাইয়েও পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা

হবিগঞ্জ

এম ইয়াকুব হাসান অন্তর
হবিগনজ প্রতিনিধিঃ

ধর্মীয় বিধান অনুসারে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সাদা রাজহাঁসে চড়ে বিদ্যা ও জ্ঞানদাত্রী দেবী সরস্বতী পৃথিবীতে আসেন। বিদ্যাদেবীর কৃপালাভের আশায় হবিগনজের লাখাই উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ঘরে ঘরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পঞ্চমী তিথিতে ২৬ জানুয়ারি পূজা উদযাপন করছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। যুগ যুগ ধরে দেবীর সামনে ‘হাতেখড়ি’ দিয়ে শিশুদের বিদ্যাচর্চার সূচনা হবে বলে মনে করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
সেই লক্ষ্যেই মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রতিমা তৈরিতে।এখন চলছে কাঁদামাটি দিয়ে প্রতিমার অবকাঠামো তৈরি ও প্রলেপ দেওয়ার প্রাথমিক কাজ।মৃৎশিল্পীরা দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন মূর্তি গড়তে।
মৃৎশিল্পীরা বলেন, কিছু অগ্রীম নিয়ে এবার বিভিন্ন সাইজের সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। আবার কিছু প্রতিমা বানানো থাকে। যা শেষ মুহূর্তে দিয়েও প্রতিমা কিনেন পূজারিরা। পুর্ব বুল্লা গ্রামের মুৎ শিল্পী মালতী রানী বলেন, এবার ৫৫ টি প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। যা সর্বনিম্ন ১ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হবে। সাজসজ্জায় যে কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়, তার দাম অনেক বেড়েছে। ফলে প্রতিমা তৈরির খরচ অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু লোকেরা এখন সবকিছুর দাম বাড়ায় দাম দিয়ে প্রতিমা কিনতে আগ্রহী নয়।
সরেজমিন কয়েকটি মৃৎশিল্পীর বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায়, চলছে ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের প্রতিমা তৈরির কাজ। মৃৎশিল্পী বাসন্তী রানী পাল ও মৃৎ শিল্পী বাসু পাল বলেন, শীতকে উপেক্ষা করে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিমা তৈরি করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এবছর শতাদিক মূর্তি তৈরি করছেন তারা। তারা বলেন, আমরা ৪-৫ জন এখানে মূর্তি তৈরির কাজ করছি।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লাখাই উপজেলার বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় পূজামণ্ডের কাজও চলছে উৎসব মুখোর পরিবেশে। পূজার মূর্তি তৈরির কাজও দ্রুত গতিতে চলছে। ঐদিন পাড়া মহল্লায় পূজামণ্ডপে পূজার্থীরা মায়ের পাদপদ্মে অঞ্জলি দেবেন।দেবীর সামনে ‘হাতেখড়ি’ দিয়ে শিশুদের বিদ্যাচর্চার সূচনা হবে অনেক স্থানে। এছাড়া কিছু মণ্ডপে ধর্মীয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *