সম্প্রতি বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়ির বাইরে চার রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালিয়ে যান অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি। গত ১৪ এপ্রিলের ওই ঘটনার এগারো দিনের মাথায় গত ২৫ এপ্রিল অনুজ থাপা (৩২) নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছিল মুম্বাই পুলিশ। তবে বুধবার (১ মে) পুলিশ হেফাজতেই আত্মহত্যা করেছেন অনুজ।
টাইমস্ অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুম্বাই পুলিশ কমিশনারের অফিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ লকাপে থাকাকালীন বুধবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে অনুজ। পরে দ্রুত তাকে নিকটবর্তী এস.টি. জর্জ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনুজের মৃত্যু হয়।
এদিকে, এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বলিউডের ‘ভাইজান’ খ্যাত সালমানের বাসার বাইরে গুলির ঘটনায় অভিযুক্ত অন্য দু’জনও বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ভিকি গুপ্তা ও সাগর পাল নামের ওই দুজনকে সিসিটিভি ফুটেজে মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল ছেড়ে যেতে দেখা যায়।
এর আগে গুলির ঘটনার পর অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছিল, ভিকি ও সাগর গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের সদস্য। কৃষ্ণসার হরিণ কেন শিকার করেছিলেন সালমান, তার শাস্তি দিতেই অভিনেতাকে ভয় দেখান তারা।
১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারে সালমানের নাম জড়িয়েছিল। এর ‘বদলা নিতে’ সালমানকে খুনের হুমকি দেয় বিষ্ণোই গোষ্ঠী। গত বছর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানিয়েছিল, জেলবন্দী গ্যাংস্টার বিষ্ণোই যে ১০ জনকে ‘হত্যার তালিকা’য় রেখেছে, তাদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে সালমানের নাম। এরপর থেকেই সালমানকে নানাভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছেন এই গ্যাংস্টার।
শেয়ার করুন