সালাহউদ্দিনের কথাই সত্য হলো, ফেসবুকে নেই মাহফুজের সেই পোস্ট

জাতীয়

সোমবার সন্ধ্যায় ‘এক এগারো পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে’, লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সেই পোস্টের সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আমি মনে করি মাহফুজ আলম সাহেব হয়তো ঘণ্টাখানেক পরে পোস্টটি ডিলিট করে দেবেন। এ বিষয়ে আর কোনো বক্তব্য নেই।

সত্যি সত্যিই তেমনটি ঘটেছে, কারণ ঘন্টা দুয়েক পর তার অ্যাকাউন্টে সেই স্ট্যাটাসটি আর দেখা যায়নি। এ নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা। আকিব মো. সাতিল নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, স্ট্যাটাস আসলেই ডিলিট করছে?

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পোস্টে তিনি লেখেন “১/১১ এর পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে।” সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে প্রথমে এক লাইনের পোস্টটি দেন তিনি।

এর কিছুক্ষণ পর আবার সেই পোস্টটি এডিট করে আরো একটি লাইন যুক্ত করেন। যেখানে তিনি লেখেন- “১/১১ এর পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে! তবে, জুলাই জয়ী হবে। জনগণের লড়াই পরাজিত হবে না”।

সেই পোস্টটি দেয়ার ঘণ্টা খানেক পর কেন তিনি এই মন্তব্য করেছেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। ওই ফেসবুক পোস্টেরই কমেন্ট বক্সে তিনি লেখেন, “১/১১ এর পদধ্বনির কথা কেন বলসি? জুলাইয়ের শক্তিগুলোর ঐক্য নাই এবং এ ঐক্য ধরে না রাখার ক্ষেত্রে আমাদের যতটা দায়, তারচেয়ে বেশি পুরাতন ১/১১ শক্তিগুলোর অন্তর্ঘাতক কর্মকান্ড দায়ী।”

তিনি লেখেন, “জুলাইয়ের শক্তিগুলোর আত্মতুষ্টির সুযোগে পুরাতন ১/১১ পন্থীদের বিভাজন এবং অন্তর্ঘাতের সুযোগ বৃদ্ধি। আওয়ামী লীগকে স্বাভাবিকীকরণ এবং জুলাইয়ের ছাত্র-জনতাকে  ভিলিফিকেশন মূলধারা হয়ে উঠসে। পুরাতন অর্থনৈতিক এবং কালচারাল বন্দোবস্ত ফিরিয়ে আনার তোড়জোড়, যার পথ ধরে লীগকে ফিরিয়ে আনার পথ প্রশস্ত হবে।”

এই উপদেষ্টা মন্তব্যের ঘরে আরো লেখেন, “ক্ষমতার দ্বন্দ্বে দলগুলো নিয়ে জনগণের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি এবং বিরাজনীতিকরণের পুরাতন প্রচেষ্টা। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যর্থ দেখিয়ে জনগণের মধ্যে হতাশা তৈরি এবং হতাশ জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্যাভিওর ক্রাইসিস তৈরির প্রচেষ্টা।”

তিনি বলেন, “জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানকে অন্য দশটা ইভেন্টের মত বানিয়ে জনগণ বিশেষ করে ছাত্রদের মধ্যে হীনম্মণ্যতা তৈরির প্রচেষ্টা। জুলাইয়ের পক্ষের শক্তিকে ধীরে ধীরে অরাজকতাকারী অযোগ্য, ব্যর্থ হিসাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে জুলাইয়ের সম্ভাবনা নাকচ করে দেয়া”।

তিনি আরো লিখেছেন, “নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি, যেখানে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উল্লেখযোগ্য টানাপোড়েন নেই। রাজনৈতিকতার অবসান, বিরাজনীতিকরণের প্রচেষ্টা, রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে হতাশা তৈরি এবং স্যাভিওর ক্রাইসিস তৈরি- সবই ১/১১ এর পুনরাবৃত্তির প্রচেষ্টা হিসাবে উল্লেখ্য”।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *