সিইসির মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে: সাদিক কায়েম

বাংলাদেশ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিছিন্ন ঘটনা’ যে মন্তব্য বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএসএম নাসির উদ্দিন করেছেন তা প্রত্যাহার এবং ক্ষমা চাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম।

সিইসির মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ডাকসুর ভিপি বলেন, পুরো ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জ্ঞাপন করে তাকে দ্রুত বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

 

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সাদিক কায়েম। এ সময় তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
 
বক্তব্যের শুরুতে সাদিক কায়েম হাদির ওপর গুলির ঘটনার প্রতিবাদে তিন দফা দাবি জানান। এসব দাবি দ্রুত কার্যকর না হলে সারাদেশের মুক্তিকামী ছাত্র জনতাকে নিয়ে জুলাইয়ের চেয়েও শক্তিশালী গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান তিনি।
 
তিনটি মূল দাবি উত্থাপন করে সাদিক কায়েম বলেন, আমাদের ভাই ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের সঙ্গে জড়িত প্রত্যক্ষ হামলাকারী, পরিকল্পনাকারী ও সহায়তাকারী সব সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাসহ রাষ্ট্রের সব সংশ্লিষ্ট অর্গানকে দ্রুত জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে এবং যাদের গাফিলতি প্রমাণিত হবে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। একই সঙ্গে যারা এই হামলাকে সমর্থন যুগিয়েছে, হাদি ভাই ও জুলাই বিপ্লবীদের হত্যাযোগ্য করে তুলেছে, সেই কালচারাল ফ্যাসিস্টদের সামাজিকভাবে সম্পূর্ণ বয়কট করতে হবে। এসব ব্যবস্থা অবিলম্বে দৃশ্যমান করতে হবে।
 
দ্বিতীয় দাবিতে তিনি বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এলাকাভিত্তিক চিরুনি অভিযান শুরু করতে হবে। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের সব সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করতে হবে এবং সব ধরনের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের অবহেলা আর সহ্য করা হবে না।
 
শেষ দাবিতে বলা হয়, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রথম ও অপরিহার্য পদক্ষেপ হিসেবে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রদত্ত রায় কার্যকর করতে হবে। গণহত্যাকারী সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়ার প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করতে হবে। অভিযুক্তদের ফেরত না দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা যাবে না।
 
 
এর আগে দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ‘ইয়ুথ ভোটার’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উল্লেখ করেন সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন।
 
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো অবনতি হয়নি জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় দুই-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। এসব নতুন কোনো ঘটনা নয়। ভোটের সময়  আহসানউল্লাহ মাস্টার, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াও খুন হয়েছিলেন। হাদির ওপর হামলাও বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’
শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *