সিইসির সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক বৃহস্পতিবার

রাজনীতি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি এ এম নাসির উদ্দিনের সাক্ষাত করার জন্য সাবেক আওয়ামী লীগের সময়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিল হওয়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। প্রায় একযুগ পরে দলটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় পেলো। বৃহস্পতিবার ১০টায় এ সাক্ষাত হওয়ার কথা রয়েছে।

ইসির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা আসার তথ্যটি নিশ্চিত করেন। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিবেন

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিবন্ধন বাতিলের আগে নির্বাচন কমিশনে দলটির সর্বশেষ যোগাযোগ হয়েছিল ২০১২ সালের ২ ডিসেম্বর। সে সময় নিবন্ধন বাঁচাতে দলটি গঠনতন্ত্রে সংশোধন এনে জমা দিয়েছিল। ওইদিন তৎকালীন আইন বিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন সরকার সংশোধিত গঠনতন্ত্রের মুদ্রিত কপি কমিশনে জমা দেন। নিবন্ধন রক্ষায় গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহ-রাসূলের নামও বাদ দিয়েছিল জামায়াত এরপর আর ইসির সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।

পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট আদালত জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপির সঙ্গে বর্জন করে। ২০১৫ সালে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় নির্বাচনের প্রতীকের তালিকা থেকে দাঁড়িপাল্লা বাদ দিলে স্থানীয় নির্বাচনেও জামায়াতের ভোটে নেওয়ার পথ বদ্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালের এসে সংসদ নির্বাচনের প্রতীকের তালিকা থেকেও দলটির প্রতীক বাদ দেয় ইসি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কেএম নূরুল হুদার কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তৎকালীন ইসি সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদের ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর দলটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল। দলটি নিবন্ধন নম্বর পেয়েছিল ১৪। কিন্তু একটি মামলার রায়ে হাইকোর্ট ২০১৩ সালে দলটির নিবন্ধন প্রক্রিয়া অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে। তাই নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করলো।

বর্তমানে নিবন্ধন ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। শুনানি চলমান রয়েছে। এরমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের সাক্ষাতের বিষয়টিকে অনেকেই নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই মনে করছেন। তবে অনেকেই বলছেন, কেবল নিবন্ধন ফিরে পেলেই হবে না। দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফিরে পেতে আদালতের রায় পক্ষে আসতে হবে। কেননা, সুপ্রিম কোর্টের মনোগ্রামে ব্যবহৃত ন্যায়বিচারের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ কে অন্য কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না মর্মে ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর সিদ্ধান্ত নেন সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *