এফএ কাপের ফাইনাল ছিল ম্যানচেস্টার ডার্বি। তাতে জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সিটিকে হারিয়েছে তারা ২-১ গোলে।
শনিবার (২৫ মে) রাতে ওয়েম্বলিতে ম্যাচের ৩০ মিনিটের মাথায় আলেহান্দ্রো গার্নাচোর গোলে লিড নেয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এরপর ৩৯ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কবি মাইনো। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে জেরমে ডকু একটি গোল করলেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি সিটি।
ফাইনালে মাঠে নামার আগে ফেভারিট ছিল ম্যানচেস্টার সিটিই। বল দখলের হিসাবে একাধিপত্য করে সিটি; ৭০ শতাংশের বেশি সময় পজেশন ছিল তাদের। পুরো ম্যাচের হিসাব করলে আক্রমণেও তারা এগিয়ে, যদিও প্রথমার্ধে দলটির আক্রমণে কোনো ধার ছিল না। সব মিলিয়ে গোলের জন্য ১৯ শট নিয়ে চারটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা; বিপরীতে ইউনাইটেড ১১ শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে পাঁচটি। তবে শেষ পর্যন্ত হাসিটা হেসেছে ইউনাইটেডই।
প্রথমার্ধেই ম্যাচ নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় রেড ডেভিলরা। গাভার্দিওলের অবিশ্বাস্য কাণ্ড এবং ইউনাইটেড শিবিরে উল্লাস। মাঝমাঠে সিটি পজেশন হারালে সতীর্ধের পা ঘুরে বল পেয়ে আলেহান্দ্রো গার্নাচোর উদ্দেশ্যে উঁচু করে বল বাড়ান ডিয়োগো ডালোট। বলে দৃষ্টি রেখে এগিয়ে যান ফরোয়ার্ড, বিপদ বুঝে বাইরে বেরিয়ে আসেন স্টেফান ওর্টেগা, ঠিক তখনই কী বুঝে ডিফেন্ডার গাভার্দিওল হেডে বল গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে সামনে বাড়ালেন। বক্সে প্রতিপক্ষের এমন উপহার পেয়ে অনায়াসে ফাঁকা জালে বল পাঠান গার্নাচো।
খানিক বাদেই অবশ্য দ্বিতীয় গোল হজম করে ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথমার্ধে মাত্র এক-চতুর্থাংশ সময় বল দখলে রাখা ইউনাইটেড ৩৯তম মিনিটে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করে। সতীর্থের লম্বা ক্রস ধরে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে গার্নাচো বক্সের মুখে খুঁজে নেন ব্রুনো ফার্নান্দেজকে। এরপর অধিনায়কের দারুণ পাস বক্সে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় প্লেসিং শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ১৯ বছর বয়সী ইংলিশ ফরোয়ার্ড মাইনো।
৮৭তম মিনিটে আর পারেননি জাল অক্ষত রাখতে ওনানা। বক্সের বাইরে থেকে ডকুর জোরাল নিচু শট ঠেকাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন ক্যামেরুনের গোলরক্ষক, বলে হাতও লাগান তিনি; তারপরও বল চলে যায় জালে।
মোসুমের একমাত্র শিরোপার পাশাপাশি আগামী মৌসুমের ইউরোপা লিগে খেলা নিশ্চিত করল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
শেয়ার করুন