আকাশযাত্রায় সিলেট বিভাগের একমাত্র ভরসা ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। প্রতিদিন এই বিমানবন্দর দিয়ে শত শত মানুষ দেশ-বিদেশে গমন করেন। তবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে নিয়মিত রুটিনে ছন্দপতন ঘটে এই বিমানবন্দরের। এ ছাড়া জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় বিমানবন্দরটিকে। তবে সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট উড্ডয়ন বন্ধ হয়ে যায়। সবমিলিয়ে তিনটি ফ্লাইটের নিয়মিত উড্ডয়ন বাতিল করা হয়।
তবে ফ্লাইট উড্ডয়ন বন্ধ থাকলেও অবতরণ বন্ধ রাখা সম্ভব হয়নি। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোর পরিস্থিতি ওসমানী বিমানবন্দরের চেয়ে বিপজ্জনক ছিল। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ফ্লাইটগুলো ওসমানীতে এসে জরুরি অবতরণ করে।
জরুরি অবতরণ করা ফ্লাইটের সংখ্যা ৮টি। তন্মধ্যে একটি ফ্লাইট আসে সৈয়দপুর থেকে, বাকিগুলো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সহকারী স্টেশন ম্যানেজার সৈয়দ বেলায়েত আলী লিমন সিলেটভিউকে জানান, তাদের পাঁচটি ফ্লাইট ওসমানী বিমানবন্দরে এসে জরুরি অবতরণ করে। তন্মধ্যে চারটি ফ্লাইট আসে চেন্নাই, কলকাতা, দুবাই ও সিংগাপুর থেকে। আরেকটি ফ্লাইট ছিল অভ্যন্তরীণ।
লিমন বলেন, ‘এয়ারলাইন্সে আমার ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে একসাথে এতো ফ্লাইট ডাইভার্ট হয়ে ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করতে দেখিনি।’
তিনি জানান, তাদের ফ্লাইটের যাত্রীদের এয়ারলাইন্সের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়।
অন্য এয়ারলাইন্সগুলোও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের জন্য হোটেল ও খাবারের ব্যবস্থা করে।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ আজ মঙ্গলবার সকালে সিলেটভিউকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিনটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। তবে জরুরি অবতরণের জন্য আসা আটটি ফ্লাইট ওসমানীতে অবতরণ করে। তন্মধ্যে সাতটি ফ্লাইট ছিল আন্তর্জাতিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ফ্লাইটগুলো শিডিউল অনুসারে গন্তব্যে যাচ্ছে।’
শেয়ার করুন