সিরিয়ার উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ জনে। গত সপ্তাহে লেবানন থেকে অভিবাসীদের বহনকারী এই নৌকাটি যাত্রা শুরু করেছিল এবং পরে সিরীয় উপকূলে সেটি ডুবে যায়।
মূলত নৌকাডুবির ঘটনার পর ভূমধ্যসাগরে সিরিয়ার বানিয়াস উপকূল থেকে আরও মৃতদেহ উদ্ধারের পর নিহতের সংখ্যা একশোর কাছাকাছি পৌঁছায়। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমধ্যসাগরে সিরিয়ার বানিয়াস উপকূল থেকে আরও মৃতদেহ উদ্ধারের পর সিরিয়ার উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে বলে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি শনিবার জানিয়েছে। ডুবে যাওয়া ওই নৌকাটি লেবানন থেকে যাত্রা শুরু করেছিল।
এছাড়া এই ঘটনায় সেসময় আরও ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল। উদ্ধারকৃত এসব অভিবাসীদের তার্তুসের বাসেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গত সপ্তাহে সিরিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে জানায়, গত মঙ্গলবার লেবাননের উত্তর মিনিয়েহ অঞ্চল থেকে নৌকাটি যাত্রা শুরু করে এবং এটিতে ১২০ থেকে ১৫০ জনের মধ্যে আরোহী ছিল।
কিছু লেবানিজ, সিরিয়ান এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংকট-বিধ্বস্ত লেবানন থেকে সমুদ্রপথে ইউরোপে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ক্রমেই বাড়ছে এবং অবৈধ এই যাত্রা পথে এটিই সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা।
অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শুধু লেবাননেই হাজার হাজার লোক তাদের চাকরি হারিয়েছে এবং লেবানিজ পাউন্ডের মূল্য ৯০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে। এছাড়া হাজার হাজার পরিবার তাদের ক্রয় ক্ষমতা হারিয়েছে এবং এখন তারা কার্যত চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আগেই জানিয়েছিল, ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে বিভিন্ন দেশের মানুষ ছিল।
আলজাজিরা বলছে, হাজার হাজার লেবানিজ, সিরিয়ান এবং ফিলিস্তিনি গত কয়েক মাস ধরে ইউরোপে আরও ভালো জীবনের আশায় নৌকায় করে লেবানন ছেড়েছে। লেবাননের জনসংখ্যা ৬০ লাখ, যার মধ্যে ১০ লাখ সিরীয় শরণার্থী রয়েছে।
২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে দেশটি গুরুতর অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়ে যা জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে টেনে নিয়েছে।
শেয়ার করুন