দেশের প্রখ্যাত আলেম, খতমে নবুয়াত সংরক্ষণ কমিটির কেন্দ্রীয় আমির শায়খুল হাদিস আল্লামা আব্দুল হামিদ পীরসাহেব মধুপুর বলেছেন কাদিয়ানীরা মুসলিম নয়। তারা আহমদিয়া মুসলিম জামাত নাম দিয়ে মুসলমানদেরকে ধোঁকা দিচ্ছে। কাদিয়ানীরা কাফের, তাদের ঈমান নেই। কেননা তারা বিশ^নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) কে সর্বশেষ নবী ও রাসুল মানেনা। আমরা সরকার এবং রাষ্টের প্রধানকে বলবো কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করুন। যদি মুসলিম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা না করেন, তাহলে কঠিন আন্দোলেনের মাধ্যমে কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষনা করতে মুসলিম প্রধানমন্ত্রীকে বাধ্য করা হবে।
সিলেটের বরেণ্য আলেম শায়খ মাওলানা শফিকুল হক সুরাইঘাটি ও রেঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মহিউল ইসলাম বুরহান এর সভাপতিত্বে উলামা সম্মেলনে ১০ দফা প্রস্তাবনা পাঠ করেন বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান সিদ্দিকী।
সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব হাফিজ মাওলানা সৈয়দ সালিম কাসিমী, মাওলানা শাহিদ হাতিমী ও মাওলানা হাসান বিন ফাহিম এর যৌথ পরিচালনায় সম্মেলনে খতমে নবুয়াত সংরক্ষণ কমিটির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নায়বে আমির মাওলানা শায়েখ আব্দুল বসির সুনামগঞ্জী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফয়জুল্লাহ আশরাফী, মাওলানা উবায়দুল্লাহ কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আবুল বারাকত গাজিপুরী, প্রচার সম্পাদক মুফতি খালেদ সাইফুল্লাহ নুমানী।
হাফিজ শাহ আলমের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সূচীত সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর মাদরাসার মুহতামিম শায়খ মাওলানা ফখরুল ইসলাম, শায়খ মাওলানা শামসুল ইসলাম, সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা কামরুল ইসলাম মিররচটি, মাওলানা মখলিছুর রহমান রাজাগঞ্জী, মাওলানা আহমদ কবির আমকুনী, মাওলানা নুর আহমদ কাসেমী, মুফতি মুজিবুর রহমান কাসেমী, মুফতি জামাল উদ্দিন হক্কানী, মাওলানা শামসুদ্দিন ইলিয়াছ, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা আহমদ সগির, মুফতি জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
বিকেল ৪টা থেকে শুরু হওয়া উলামা সম্মেলনে সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কয়েকশ প্রতিনিধিত্বশীল উলামা মাশায়েখগন অংশগ্রহন করেন। সম্মেলনে শেষে সভাপতির মোনাজাতের পূর্বে খতমে নবুয়াত সংরক্ষণ কমিটির সিলেট জেলা শাখার পূর্নাঙ্গ কমিটি ও মহানগর আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়।