সিলেট নগরীর বন্দরবাজারস্থ করিম উল্লাহ মার্কেটের পাশে সিটি হাট রেস্টুরেন্টে প্রতারণা শিকার হচ্ছেন মানুষজন। রেস্টুরেন্টের ভিতরে রয়েছে নানা রকমের দুর্নীতি। পরিবেশ সুন্দর থাকলেও নেই কাস্টমার। মাউন্টসিস্টেম করে ডাকতে থাকে কাস্টমার।
২৫ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরের খাবার খেতে যান গোয়াইনঘাটের এক সাংবাদিক। তিনি খাবারের অর্ডার দেন ভাত, চিংড়ি মাছ, ২ আইটেম ভর্তা এবং সাথে এক বাটি ডাল।
খাওয়া শুরু করে খাবার মানসম্মত না হওয়ায় তিনি চিংড়ি মাছ না খেয়ে ভর্তা দুই আইটেম দিয়ে খাবার সমাপ্তি করেন। একটু পরেই রেস্টুরেন্টের ওয়েটার বিলের মেমো নিয়ে সামনে হাজির হয়। মেমোতে সর্বমোট বিল হয় ১৪৪৫ টাকা। বিল দেখে তিনি কাগজটি নিয়ে ক্যাশ কাউন্টারে গেলে ম্যানেজার তার সাথে খারাপ আচরণ করেন। এমন কি ১৪৪৫ টাকা বিল আদায় করতে নানাবিধ কথাবার্তা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটির স্টাফ কর্মচারীরা।
অভিযোগে প্রকাশ গত ১৮ সেপ্টেম্বর দক্ষিন সুরমার এক ব্যবসায়ী প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তিনি চার পিছ মুরুগের মাংস দিয়ে এক হাফ কড়াই ও সাথে দুইটি ভর্তা খান। বিল হয় ১৪শ’ টাকা। কিন্তু ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে গেলে মারমুখি হন রেস্টুরেন্টের স্টাফরা। তাদের কাছে প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কাস্টমারগণ।
এছাড়া সিটি হার্ট রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে আরো অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এমনকি ভোক্তা অধিকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সবাই।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জানান, আমি মাইকের সাউন্ড শুনে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করি, ফ্রেশ হয়ে খাবারের অর্ডার দেই। ভাত, দুই আইটেম ভর্তা, এক হাফ চিংড়ি মাছ এবং ডাল। খাওয়া শুরু করে দেখি মানসম্মত না, পরে চিংড়ি না খেলে দুই আইটেম ভর্তা আর ডাল দিয়ে খাবার খাই। খাবার শেষে হঠাৎ বিল মেমো ১৪৪৫ টাকা।
সিলেটের মাটিতে এমন সিন্ডিকেট দুঃখজনক, এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।
শেয়ার করুন