সিলেট নগরীর আম্বরখানা এলাকায় অবস্থিত মান্নান ম্যানশনের ৫ম তলায় অবস্থিত হোটেল রেডিসন গার্ডেনে পতিতাবৃত্তি ও টর্চার সেল পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে। হোটেল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালে এখানে পতিতাবৃত্তির ব্যবসা ও রুম ভাড়া নিয়ে মাদক সেবীরা মাদক সেবন করে। এমনটাই জানিয়েছেন আম্বরখানার স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীরা জানান, এই হোটেলের কয়েকটি কক্ষকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকেই টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করা হতো। সেই সময়ে অনেক লোকদের এখানে এনে নির্যাতন এবং মাদক সেবন করতো আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের অনুসারী সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের ইমন, সুমন সহ সংঘবদ্ধ চক্র। এই হোটেলেই তাদের আস্তানা ছিলো। সময়ের পালা বদলে এসব কক্ষ বর্তমানে একদল সংঘবদ্ধ চক্র ব্যবহার করছে। তবে তাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। তারা নানা বয়সী মানুষকে অপহরণ করে এই হোটেল কক্ষে নির্যাতন করে এবং ছবি তোলে মুক্তিপন আদায় করে।
সম্প্রতি এই টর্চার সেলে নগরীর এক যুবককে ধরে এনে মুক্তিপন আদায় করতে গিয়ে ব্যর্থ হয় সংঘবদ্ধ এই চক্রটি। এই ঘটনায় বেরিয়ে আসে হোটেলটির ভেতরকার আসল কাহিনী।
স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দুপুর দুইটার দিকে সিলেট মহানগর কতোয়ালী থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে এই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে একজনকে উদ্ধার করে। এছাড়াও মনা নামের একজন কে আটক করে। তার বিরুদ্ধে অপর এক যুবককে অপহরন করে রেডিসন হোটেলে আটকে রাখার অভিযোগ আনেন অপহরন হওয়া ব্যক্তির স্বজনরা।
তাদের অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মনা নামের এক ব্যক্তি তাদের বাসায় গিয়ে জানায় তার ছেলেকে আম্বরখানা একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে। ৩ লাখ টাকা পেলে ছেড়ে দেওয়া হবে। তারা টাকা না দিয়ে মনাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তাকেসহ হোটেল রেডিসন সিলেটে অভিযান চালিয়ে অপহৃত যুবককে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তাকে কতোয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বিষয়টি জানতে হোটেলের মালিক সুজনকে একাধিক বার কল তার মুঠোফোন বন্ধ মিলে।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জিয়াউল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
হোটেল রেডিসন গার্ডেন এবং সেই সংঘবদ্ধ এই চক্রের হায়দর, মোটর সুমনসহ অপহরণ নিয়ে আরো আসছে বিস্তারিত…
শেয়ার করুন