সিলেটে এ সপ্তাহে নিত্যপণ্যের তেমন দাম বাড়েনি কমেওনি। তাই গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে বাজার অনেকটা স্বাভাবিক আছে। সরবরাহ বেশি থাকায় শীতকালীন শাক-সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ৫ টাকা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি লাল শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা, সবুজ শিম (গোয়ালগাদা) ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৭০-৮০ টাকা, বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকা, নতুন ফুলকপি ৩৫-৪০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, শালগম ৩০টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের প্রতিটি লাউ ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া লালশাক, মুলাশাক, লাউ শাকের প্রতি আঁটি ৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি পেঁপে ২০ টাকা, চিচিঙা ৩৫ টাকা, ঢেঁড়স, বরবটি, ঝিঙা ৩৫ টাকা এবং জলপাই বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি ও কাঁচকলা প্রতি হালি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন আলুর দাম নেমেছে প্রায় অর্ধেকে। ৪০ টাকা কেজি নতুন আলু আর পুরনো আলু ২৫-২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
নগরের বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা গাড়িচালক আবিদ মিয়া মদিনা মার্কেট এলাকায় বাজার করতে এসেছেন। তিনি বলেন, প্রতি সপ্তাহেই বিভিন্ন ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। ৩৭০ টাকার গুড়ো দুধ বেড়ে ৪১০ টাকা হয়েছে। তবে আজ দেখছি তেমন কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি। বাজারে এলেই আমাদের মতো সীমিত আয়ের লোকজনের এক ধরনের ভয় কাজ করে। দাম বাড়লে কাটছাঁট করে পরিমাণ কমাতে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ সদস্য বলেন, আজ বাজারে এসে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি। এখন শাকসবজির দাম কম আছে। আগে তো ১০০ টাকার নিচে টমেটো কেনাই যেত না। এখন এ টমেটো ৭০টাকা কেজিতে কিনলাম। এভাবে প্রত্যেকটা সবজির দাম কেজিতে ৫/১০ টাকা কমেছে।
রিকাবীবাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, শীতের সবজি বাজারে সরবরাহ থাকায় দাম কমেছে। তাই যে ক্রেতা আগে এক কেজি নিতেন তিনি এখন দু-তিন কেজি করে সবজি কিনছেন। লাভও হচ্ছে খারাপ না।
সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ৫ টাকা। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০টাকা দরে। এছাড়া প্রতি কেজি গুরুর মাংস ৬৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংস ৭৫০টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি বাজারে চাষের মাছের সঙ্গে দেশি মাছের আধিক্যও দেখা গেছে। যার কারণে মাছের বাজারও স্থিতিশীল আছে।
নগরের লালবাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী জয়নাল আহমদ বলেন, বাজারে প্রচুর মাছ আছে। চাষের মাছের পাশাপাশি দেশি (স্থানীয় হাওরের মাছ) মাছও আছে। তবে ক্রেতাদের পছন্দ দেশি মাছ। হাওরের মাছের দামও একটু বেশি।
শেয়ার করুন