কুয়াশায় মোড়ানো আকাশ। আলতো হাওয়া বইছে প্রকৃতিতে।সন্ধ্যার সাথে সাথে শীতল বাতাস জানান দেয় প্রকৃতিতে এখন শীতকাল। সেই সাথে চলছে মাঘ মাস। ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে শীতে কাবু উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষ।
আবহাওয়া অধিদফতর থেকে জানা গেছে, এবার শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বুধবার (১৮ জানুয়ারি)। এদিন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দিনভর মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে সিলেটের ওপর দিয়ে। তীব্র ঠাণ্ডায় কাবু ছিল নগরের জনজীবন। রাতের তাপমাত্রাও অপরিবর্তিত ছিল এমনটি জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিলেটের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, সিলেটে এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বুধবার ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি। যে কারণে জনজীবনে তীব্র ঠাণ্ডা অনুভূত হয়েছে। রাতের তাপমাত্রাও অপরিবর্তিত রয়েছে। দিনভর ছিল মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
শৈত্যপ্রবাহ আরও তিনদিন থাকতে পারে জানিয়েছেন তিনি বলেন, গত বছর সিলেটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ১০ ডিগ্রি। এবার শীতে তাপমাত্রা নেমেছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে।
সরেজমিন দেখা গেছে, তীব্র ঠাণ্ডায় রাতে নগরের ফুটপাতগুলোতে ছিন্নমূল মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। অনেকে নামে মাত্র উষ্ণ কাপড় ও হালকা কম্বল গায়ে জড়িয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত পার করছেন।
এদিকে, শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন ঠাণ্ডাজনিত রোগে।গত কয়েকদিনে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেটের বিভাগীয় পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।ঠাণ্ডাজনিত রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সিলেটে ঠাণ্ডা বেড়ে যাওয়াতে শিশু ও বয়স্কদের যত্ন নিতে পরামর্শ দিয়েছেন ডা. হিমাংশু।