সিলেটে কালোবাজিদের হাতে ট্রেনের টিকিট

সিলেট

ঈদে বাড়ি ফেরার মানুষের চাপে সিলেটে চাহিদা বেড়েছে ট্রেনের টিকিটের। এই সুযোগে সক্রিয় হয়ে উঠেছে কালোবাজারি চক্র। তারা ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে অনলাইনে কিনে নিচ্ছে ট্রেনের টিকিট। ফলে সাধারণ যাত্রীরা টিকিট পাচ্ছেন না। পরে তারা বাধ্য হয়ে কালোবাজারিদের কাছ থেকে বেশি দামে ট্রেনের টিকিট কিনতে হচ্ছে।

রবি ও সোমবার সিলেট বিভাগ ও ব্রাহ্মনবাড়িয়ার বিভিন্ন রেল স্টেশনে অভিযান চালিয়ে এমন কালোবাজারিদের সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব-৯। র‌্যাবের অভিযানে ১২৫ টি টিকেটসহ কালোবাজারি চক্রের ৭ সদস্য আটক করা হয়েছে।

সোমবার র‌্যাব-৯ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৯ এর অধিনায়ম মো. মোমিনুল হক।

তিনি জানান, ঈদে শতভাগ ট্রেনের টিকেট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সংঘবদ্ধ কালোবাজারি চক্রের সদস্যরা দ্রুতঅনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের বেশির ভাগটিকেট ক্রয় করে। পরবর্তীতে, ট্রেনের টিকেটের চাহিদা অনুযায়ী তারা বিভিন্ন রেলস্টেশন এবং এর আশেপাশের এলাকায় অবৈধ ভাবে ট্রেনের টিকেট জনসাধারণের কাছে অধিক মূল্যে বিক্রি করে লাভবান হয়।

তিনি জানান, র‌্যাব-৯, সিলেট এর কাছে তথ্য ছিল যে,অনলাইনে টিকেট বিক্রির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সিলেটেও ব্রাক্ষণবাড়ীয়ায় বেশ কয়েকটি টিকেট কালোবাজারি চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা অনলাইনে ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্ড ও মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করে টিকেট ক্রয় করে চড়া দামে সাধারণ যাত্রীদের কাছে বিক্রি করছে। সাধারণ জনগণ অনেক সময়ই অধিক মূল্যে ট্রেনের টিকেট ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন। এসকল তথ্যের ভিত্তিতে ট্রেনের কালোবাজারিদের গ্রেফতারে র‌্যাব-৯, সিলেট গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।

এরই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব ৭ এপ্রিল রাত থেকে ০৮ এপ্রিল পর্যন্ত সিলেট বিভাগ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একাধিক রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান পরিচালনা করে ১২৫ টি আসনের ট্রেনের টিকেটসহ কালোবাজারি চক্রের ৭ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. আরিফ (৩২), সজল কান্তি চন্দ (৬০), আরিফুল ইসলাম (১৯), রাজিব কুমার দাস (৪৫), মো. স্বপন মিয়া (৪২), মো. ইব্রাহিম ইসলাম রিফাত (২৪), মোহাম্মদ সাগর (৩৫)।

র‌্যাব অধিনায়ক আরো জানান, ঈদ পূর্ববর্তী সময়ে এই কালোবাজারি চক্র বিশেষভাবে সক্রিয় থাকে। তারা বিভিন্ন এনআইডি ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে এসব টিকেট ক্রয় করে এবং হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সেগুলো ট্রেনের টিকেট প্রত্যাশীদের কাছে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *