ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি হচ্ছেন সিলেটের পঞ্চম মেয়র। নিজ দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। এ কারণে এবার তার উপর আশা বেশি। শুরুতেই দেখিয়েছেন চমক। চেয়ারে বসতে না বসতেই ১৭৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ এনেছেন। স্থানীয় সরকারমন্ত্রীও একটি বরাদ্দ দেয়ার কথা জানিয়েছেন। আগামী ৫ বছর কেমন হবে আনোয়ার চৌধুরীর শাসন- এটি নিয়ে আলোচনা চলছে। তার দায়িত্ব শুরুর বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন নগরবাসী। এরই মধ্যে আলোচনায় এসেছে প্যানেল মেয়র নির্বাচনের বিষয়টি।
সংরক্ষিত ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেবেকা সুলতানা, সংরক্ষিত ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহানা বেগম সানু, সংরক্ষিত ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহানারা বেগম ও সংরিক্ষত ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নার্গিস সুলতানা। কাউন্সিলররা জানিয়েছেন- যারা প্যানেল মেয়র হতে চান তারা ইতিমধ্যে তাদের প্রার্থিতা ঘোষণা করে ভোট চাওয়া শুরু করেছেন। তবে- কাউন্সিলররা যোগ্যদের দেখেই ভোট দেবেন। এক্ষেত্রে প্রার্থী হওয়া সিনিয়র কাউন্সিলরদের পাশাপাশি জুনিয়ররাও রয়েছেন পছন্দের তালিকায়। এ নিয়ে শুরু হয়েছে টাকার খেলাও। ভোট কিনে মেয়র প্যানেলে নির্বাচিত হতে অনেকেই চেষ্টা করছেন। সাধারণ কাউন্সিলরদের দিচ্ছেন নানা প্রলোভন।
তবে প্যানেল মেয়র নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছেন সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি এখনো কাউকেই সমর্থন দিচ্ছেন না। কিংবা কারও পক্ষে ভোট চাচ্ছেন না। প্যানেল মেয়রে আওয়ামী লীগ দলীয় কাউন্সিলরদের আধিক্য থাকবে বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলররা।
তারা জানিয়েছেন, জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা নিজেদের লোককে প্যানেলে নিতে চেষ্টা, তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। যেহেতু ভোটে প্যানেল নির্বাচিত হবে, সে কারণে তারা কাউন্সিলরদের কাছে এ নিয়ে চেষ্টা, তদবির করছেন।
সিলেট পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের ৬ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত সনতু জানিয়েছেন, তিনি এবার প্যানেল মেয়র পদে প্রার্থী হচ্ছেন। সিনিয়র কাউন্সিলর হলেও প্যানেল মেয়রের পদটি তার কাছে অধরা রয়েছে। সুতরাং কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলছেন। তাদের মতামত নিয়েই তিনি এবার প্যানেল মেয়রের প্রার্থী হচ্ছেন।
আরেক সিনিয়র কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান জানিয়েছেন, ভোটেই নির্বাচিত হবে মেয়রের প্যানেল। এখানে ভোটার কেবল মেয়র ও কাউন্সিলররা। তারা যাকে যোগ্য মনে করবে তারাই প্যানেলে যাবে। তিনি প্রার্থী হয়েছেন। ভোটও চাচ্ছেন বলে জানান।
১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদী জানান, প্যানেল মেয়র পদে তিনিও প্রার্থী হচ্ছেন। কাউন্সিলররা যাকে যোগ্য মনে করবে তাকেই প্যানেলে নেবেন।
এদিকে- সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে এবার ৫ জন প্রার্থী হচ্ছেন। সিনিয়র কাউন্সিলরদের মধ্যে শাহানা বেগম, সালমা সুলতানা ও শাহানা বেগম সানু আছেন আলোচনায়।
শেয়ার করুন